হিল ভয়েস, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, বান্দরবান: আজ (২৪ নভেম্বর) বান্দরবান জেলাধীন রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে এক প্রত্যন্ত এলাকায় সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত এক অভিযানে গুলিতে বম পার্টি খ্যাত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর দুই সন্ত্রাসী সদস্য এবং একজন নারী নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটে পাইন্দু ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মুননোয়াম পাড়া থেকে পূর্বদিকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে দুর্গম কুত্তামারা ঝিরি নামক স্থানে। অভিযানের ভয়ে ওই কেএনএফ সদস্যরা একটা স্থানে লুকিয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে ভাত খাওয়ার সময় সেনাবাহিনী ঐ স্থানে গিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এসময় ঘটনাস্থলে নারী সহ ওই তিন ব্যক্তি নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ১. ফেনকুপ বম (৬৫), পীং-মৃত থংনিয়ার বম, গ্রাম-সারনপাড়া, ২. মেসি ভানলাল লিয়ান বম (২২), পীং-ত্লোয়াং থন বম, গ্রাম-হ্যাপিহিল পাড়া ও ৩. এলি ভানজির পার বম (১৮), স্বামী-মেসি ভানলাল লিয়ান বম, গ্রাম-হ্যাপিহিল পাড়া।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী ও ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ২০০৮ সালে নাথান বম ও ভাংচুনলিয়াম বমের নেতৃত্বে কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পার্বত চুক্তি বাস্তায়নের বিরুদ্ধে এবং চুক্তি স্বাক্ষরকারী জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালে কেএনডিও-এর নাম পরিবর্তন করে বম পার্টি খ্যাত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নাম রেখে সশস্ত্র কার্যক্রম শুরু করা হয়।
২০২০ সালের দিকে অর্থের বিনিময়ে ইসলামী জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদের রুমার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত গোপন আস্তানায় কেএনএফ কর্তৃক আশ্রয় ও সামরিক প্রশিক্ষণের ঘটনা ফাঁস হলে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কেএনএফের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে বাধ্য হয়।
২০২৪ সালের ২ ও ৩ এপ্রিল পরপর রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বিপুল পরিমাণ অর্থ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট করলে ৭ এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী কেএনএফের বিরুদ্ধে আবার অভিযান শুরু করে।