হিল ভয়েস, ২২ নভেম্বর ২০২৪, বিশেষ প্রতিবেদক:
বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও সংশোধন
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
পার্বত্য চুক্তির ‘ক’ খন্ডের ২নং ধারায় “উভয়পক্ষ এই চুক্তির আওতায় যথাশীঘ্র ইহার বিভিন্ন ধারায় বিবৃত ঐকমত্য ও পালনীয় দায়িত্ব অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আইন, বিধানাবলী, রীতিসমূহ প্রণয়ন, পরিবর্তন, সংশোধন ও সংযোজন আইন মোতাবেক করা হইবে বলিয়া স্থিরীকৃত করিয়াছেন”।
১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন প্রণীত হয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন ২০১৬ পাশের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ এর যথাযথভাবে বিরোধাত্মক ধারা সংশোধন করা হয়।
আরো উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে ভোটার তালিকা অধ্যাদেশ ১৯৮২, ভোটার তালিকা বিধিমালা ১৯৮২, পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০, খসড়া সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০১, এনজিওদের অনুসরণীয় কার্যপ্রণালীর পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত ধারাসমূহ সংশোধনের জন্য সরকারের নিকট প্রস্তাব পেশ করা হয়। কিন্তু সরকার খসড়া সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০১ ব্যতীত এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির এই বিধান কার্যকর করার জন্য পুলিশ এ্যাক্ট ১৮৬১, পুলিশ রেগুলেশন, বন আইন ১৯২৭ সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রযোজ্য ৪২টি আইন এবং ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি সহ পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত ১০টি বিশেষ আইনসমূহ সংশোধন করার সুপারিশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। কিন্তু কোন সরকারই সংশোধনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
বস্তুত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির স্বাক্ষরের পর বিগত ২৭ বছরেও চুক্তির মৌলিক বিষয়সহ দুই-তৃতীয়াংশ ধারা অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়েছে।