হিল ভয়েস, ১০ আগস্ট ২০২০, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নে সেনাবাহিনী মদদপুষ্ট ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও সংস্কারপন্থী সশস্ত্র গ্রুপ কর্তৃক এক নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং পরে সেনাবাহিনী ও মুসলিম সেটেলারদের সহায়তায় লাশ গুম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, গত ৭ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার রাত পৌনে ১:০০ টার সময় জীবতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ায় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও সংস্কারপন্থী কর্তৃক জীবতলীর চেয়ারম্যান পাড়ার অরুন বিকাশ চাকমা নামে এক নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের লাশ কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। গতকাল ৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১:০০ টার সময় নিহত অরুন বিকাশ চাকমার জীবতলী এলাকায় হ্রদের পানিতে ভেসে উঠে।
নিহতের লাশটি পাওয়ার পরই কিছুক্ষণের মধ্যে কিছু সংখ্যক সেটেলার বাঙালি নিয়ে গবঘোনা সেনা ক্যাম্প হতে একদল সেনা সদস্য ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও সংস্কারপন্থী সশস্ত্র গ্রুপের চেকপোস্টে (অধীর চাকমার ওরফে হেগেরার বাড়ি সংলগ্ন) এসে লাশটি তুলে নিয়ে যায়। লাশটি কোথায় নিয়ে গেছে তার কোন হদিস এখনো পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সশস্ত্র গ্রুপ সন্ত্রাসীরা জীবতলী ইউনিয়নের কতিপয় জনপ্রতিনিধিদের জানায় যে, লাশটি আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে না এবং লাশটি নদীতে ফেলে দিয়ে গুম করা হবে।
উল্লেখিত ঘটনার জেরে সন্ত্রাসীরা ৮ আগস্ট ২০২০ জীবতলীর অমল চাকমার দোকানটি বন্ধ করে দিয়েছে। তাছাড়া সন্ত্রাসীরা মগবান ইউনিয়নের ১ ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা পদ্মশিখা চাকমাকে ১০ আগস্ট সকাল দশটার মধ্যে অধীর চাকমার (হেগেরা) বাড়িস্থ সন্ত্রাসীদের আস্তানায় স্থানীয় চেয়ারম্যান, হেডম্যান, কার্বারী ও ৫/৬ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উপস্হিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যায়।
গত ৩১ মে ২০২০ সেনাবাহিনী স্কর্ট দিয়ে সংস্কারপন্থী ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) একটি সশস্ত্র গ্রুপকে রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন জীবতলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ায় পৌঁছে দেয়। তারপর থেকে জীবতলী এলাকায় সেনাবাহিনী আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা খুন, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।