হিল ভয়েস, ২৭ জুন ২০২০, পটুয়াখালী: পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় আদিবাসী রাখাইন পরিবারের জমি দখলের উদ্দেশ্যে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে স্থানীয় এক মুসলিম ভূমিদস্যু কর্তৃক এক রাখাইন পরিবারের উপর হামলা করা হয়। এতে অন্তত তিন জন রাখাইন নারী আহত হন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, অন্তত ৫০ বছরের দখলে থাকা ভোগদখলীয় জমিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও রোপনের কাজ শেষ করেছেন বয়োবৃদ্ধা মাজাফ্রু রাখাইন। মেয়ে মাওয়েনসে ও ছেলে বউ য়িয়ি রাখাইনকে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ওই জমিতে এলাকার ভূমিদস্যুখ্যাত আব্দুর রহিম ওরফে কাড রহিম ২৫-৩০ লাঠিয়াল নিয়ে হামলা চালায়।
ভূমিদস্যু আব্দুর রহিম জমির রোপন করা আমন চারা উপড়ে ফের রোপনের কাজ শুরু করে। মাজাফ্রু নিজে মেয়েসহ ছেলে বউকে নিয়ে বাধা নিষেধ করায় তাদেরকে মারধর করা হয়। কাদার মধ্যে চেপে ধরা হয়। ওড়না গলায় পেচিয়ে ধরা হয়। তার স্বজনরা থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে এদেরকে রক্ষা করে।
২৬ জুন ২০২০ রোববার বেলা ১১টার সময়ে ঘন্টাব্যাপী এমন তান্ডবে দিশেহারা হয়ে গেছে এ সংখ্যালঘু রাখাইন পরিবার। সোনাপাড়া মৌজার এসএ ২৬৯ নম্বর খতিয়ানের তিন একর ২৪ শতক জমিতে দখলের চেষ্টা চালায় রহিম গং।
বর্তমানে রাখাইন এ পরিবারটি আছেন চরম আতঙ্কের মধ্যে। তারা কলাপাড়া পৌরশহরের এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছেন। মাজাফ্রু জানান, তার স্বামীর জীবদ্দশায় এসব জমি নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করে আসছেন। এবছর হঠাৎ চিহ্নিত ভূমিদস্যুচক্র হামলে পড়েছে।
রাতে কলাপাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার পরে মাওয়েনসে রাখাইন একটি মামলা করেছেন। যেখানে আব্দুর রহিম হাওলাদারসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, মামলা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, আসামিদের গ্রেফতারে দুই দফা অভিযান চালানো হয়েছে। পলাতক থাকায় তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
মাজাফ্রুর অভিযোগ করেন, এ ভূমিদস্যুচক্র উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানির জন্য হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।
সূত্র: নিউজ বরিশাল.কম