হিল ভয়েস, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০: বাংলাদেশে আজ ১৯ জুন ২০২০ পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্ত হয়েছে ১,০২,২৯২ জন, মোট মৃত্যু হয়েছে ১,৩৪৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪০,১৬৪ জন। তার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩১ জন। মৃত্যু হয়েছেন শিশুসহ মোট ৪ জন। আক্রান্তের মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলায় ১৪৬ জন, খাগড়াছড়িতে ১১৫ জন এবং বান্দরবান জেলায় ১০৯ জন।
রাঙ্গামাটি জেলা:
রাঙ্গামাটিতে সিভিল সার্জন অফিসের হিসেব অনুযায়ী জেলাটিতে আজ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে মোট ১৪৬ জন এবং সুস্থ হয়েছে ৬৬ জন, আইসোলেশনে আছেন ২৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে শিশুসহ ৪ জন।
রাঙ্গামাটি জেলার মধ্যে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ জন। রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে আক্রান্ত হয়েছে ২৮ জন, কাউখালী উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ১১ জন, রাজস্থলীতে ২ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে, লংগদু উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ জন, জুরাছড়ি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৬ জন, বিলাইছড়ি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ২ জন এবং নানিয়াচর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ২ জন এবং বাঘাইছড়ি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন।
তার মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলায় মে মাসে ২৫ দিনে (৬ মে থেকে ৩১ মে) ৬০ জন এবং জুন মাসে ১৯ দিনে (১-১৯ জুন) ৮৬ জন আক্রান্ত রয়েছে। মে মাসে প্রতিদিন গড়ে ২.৪ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে ৪.৫ জন। রাঙ্গামাটি জেলায় মে মাস থেকে জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে ২ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তার অর্থ হচ্ছে মে মাস থেকে জুন মাসে আক্রান্তের হার প্রায় ৮৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপরদিকে রাঙ্গামাটি জেলায় জুন মাসে প্রথম সপ্তাহে ১১ জন, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৩৪ জন এবং তৃতীয় সপ্তাহের প্রথম চারদিনে ৪১ জন আক্রান্ত হয়েছে। তার অর্থ হচ্ছে দিন যতই যাচ্ছে ততই রাঙ্গামাটি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
গত ১৯ মে রাঙামাটি সদর উপজেলায় এই পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৭ জন।
রাঙ্গামাটি জেলা: মে মাসে ২৫ দিনে (৬ মে থেকে ৩১ মে) ৬০ জন
সপ্তাহ | আক্রান্তের সংখ্যা | মোট আক্রান্ত |
দ্বিতীয় সপ্তাহ | ৬ মে আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন,
১২ মে আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, ১৩ মে আক্রান্ত হয়েছে ৯ জন। |
১৪ জন |
তৃতীয় সপ্তাহ | ১৪ মে আক্রান্ত হয়েছে ১১ জন,
১৬ মে আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, ১৯ মে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ জন, ২২ মে আক্রান্ত হয়েছে ৩ জন। |
৩০ জন |
চতুর্থ সপ্তাহ | ২৩ মে আক্রান্ত হয়েছে ১০ জন,
২৮ মে আক্রান্ত হয়েছে ২ জন, ৩১ মে আক্রান্ত হয়েছে ২ জন। |
১৪ জন |
মোট | ২৫ দিনে (৬ মে থেকে ৩১ মে) | ৬০ জন |
রাঙ্গামাটি জেলায় গত ৬ মে আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন, গত ১২ মে আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, গত ১৩ মে আক্রান্ত হয়েছে ৯ জন, গত ১৪ মে আক্রান্ত হয়েছে ১১ জন, গত ১৬ মে আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, গত ১৯ মে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ জন, গত ২২ মে আক্রান্ত হয়েছে ৩ জন,গত ২৩ মে আক্রান্ত হয়েছে ১০ জন, গত ২৮ মে আক্রান্ত হয়েছে ২ জন, গত ৩১ মে আক্রান্ত হয়েছে ২ জন।
গত ১ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, গত ২ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৭ জন, গত ৪ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, গত ৫ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, গত ৭ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, গত ৮ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৭ জন, গত ৯ জুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন, গত ১৩ জুন আক্রান্ত হয়েছে ২২ জন, গত ১৪ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, গত ১৬ জুন আক্রান্ত হয়েছে ২১ জন, গত ১৭ জুন আক্রান্ত হয়েছে ২ জন, গত ১৮ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১৮ জন ।
রাঙ্গামাটি জেলা: জুন মাসে ১৯ দিনে (১-১৯ জুন) ৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
সপ্তাহ | আক্রান্তের সংখ্যা | মোট আক্রান্ত |
প্রথম সপ্তাহ | ১ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন,
২ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৭ জন, ৪ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, ৫ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, ৭ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন। |
১১ জন |
দ্বিতীয় সপ্তাহ | ৮ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৭ জন,
৯ জুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন, ১৩ জুন আক্রান্ত হয়েছে ২২ জন, ১৪ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন। |
৩৪ জন |
তৃতীয় সপ্তাহ (তিন দিনে) | ১৬ জুন আক্রান্ত হয়েছে ২১ জন,
১৭ জুন আক্রান্ত হয়েছে ২ জন, ১৮ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১৮ জন। |
৪১ জন |
মোট | ১৯ দিনে (১-১৯ জুন) | ৮৬ জন |
খাগড়াছড়ি জেলা:
খাগড়াছড়ি জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫ জন এবং সুস্থ হয়েছে ৩৩ জন। তার মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ৩৮ জন, মহালছড়ি উপজেলা ৯ জন, মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ৭ জন, দীঘিনালা উপজেলা ৫ জন, পানছড়ি উপজেলা ২ জন, মানিকছড়ি উপজেলা ১২ জন, রামগড় উপজেলায় ১৯ জন।
খাগড়াছড়িতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ২৯ এপ্রিল ১ জন দীঘিনালা উপজেলায়। খাগড়াছড়ি জেলায় মে মাসে ১৯ দিনে (১৩ মে থেকে ৩১ মে) ৩৩ জন এবং জুন মাসে ১৯ দিনে (১-১৯ জুন) ৮১ জন আক্রান্ত রয়েছে। মে মাসে প্রতিদিন গড়ে ১.৭ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে ৪.৩ জন। খাগড়াছড়ি জেলায় মে মাস থেকে জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে ২.৬ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
তার অর্থ হচ্ছে মে মাস থেকে জুন মাসে আক্রান্তের হার প্রায় ১৫৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। তার অর্থ হচ্ছে দিন যতই যাচ্ছে ততই খাগড়াছড়ি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, যা নি:সন্দেহে চরম উদ্বেগজনক।
খাগড়াছড়ি জেলা: মে মাসে ১৯ দিনে (১৩ মে থেকে ৩১ মে) ৩৩ জন
সপ্তাহ | আক্রান্তের সংখ্যা | মোট আক্রান্ত |
তৃতীয় সপ্তাহ | ১৩ মে আক্রান্ত হয়েছে ৩ জন,
১৪ মে আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, ২১ মে আক্রান্ত হয়েছে ৬ জন। |
১০ জন |
চতুর্থ সপ্তাহ | ২৩ মে আক্রান্ত হয় ৭ জন,
২৬ মে আক্রান্ত হয়েছে ৯ জন, ২৭ মে আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন, ৩১ মে শনাক্ত হয়েছে ৫ জন। |
২৩ জন |
মোট | ১৯ দিনে (১৩ মে থেকে ৩১ মে) | ৩৩ জন |
খাগড়াছড়ি জেলা: জুন মাসে ১৯ দিনে (১-১৯ জুন) ৮২ জন আক্রান্ত হয়েছে।
সপ্তাহ | আক্রান্তের সংখ্যা | মোট আক্রান্ত |
দ্বিতীয় সপ্তাহ | ৮ জুন শনাক্ত হয়েছে ১০ জন,
৯ জুন শনাক্ত হয়েছে ৯ জন, ১৩ জুন শনাক্ত হয়েছে ২৫ জন, ১৪ জুন শনাক্ত হয়েছে ৮ জন। |
৫২ জন |
তৃতীয় সপ্তাহ (৪ দিনে) | ১৫ জুন শনাক্ত হয়েছে ৮ জন,
১৭ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১০ জন, ১৮ জুন শনাক্ত হয়েছে ১১ জন। |
২৯ জন |
মোট | ১৯ দিনে (১-১৯ জুন) | ৮১ জন |
খাগড়াছড়ি জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ২৯ এপ্রিল ১ জন দীঘিনালা উপজেলায়। গত ১৩ মে আক্রান্ত হয়েছে ৩ জন, গত ১৪ মে আক্রান্ত হয় ১ জন (পানছড়ি, লতিবান), গত ২১ মে আক্রান্ত হয়েছে ৬ জন। গত ২৩ মে আক্রান্ত হয় ৭ জন, গত ২৬ মে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ০৯ জন, গত ২৭ মে আক্রান্ত হয়েছেন ২ জন, গত ৩১ মে ২০২০ নতুন করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ জন।
গত ৮ জুন নতুন করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ জন, গত ৯ জুন শনাক্ত হয়েছে ৯ জন, ১৩ জুন খাগড়াছড়িতে মোট শনাক্ত হয়েছে ২৫ জন, গত ১৪ জুন খাগড়াছড়ি জেলা সদরে নতুন ৮ জন করোনা সনাক্ত হয়েছে, গত ১৫ জুন করোনা শনাক্ত ৮ জন, গত ১৭ জুন খাগড়াছড়ি সদরে আক্রান্ত ১০ জন, গত ১৮ জুন নতুন করে সনাক্ত হয়েছে ১১ জন।
বান্দরবান জেলা:
বান্দরবান জেলার উপজেলাগুলোর মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ১৬ এপ্রিল ২০২০ সর্বপ্রথম একজনের শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়। বান্দরবান জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন।আক্রান্তদের মধ্যে আলিকদম উপজেলায় ২ জন, লামা উপজেলায় শিশুসহ ১৪ জন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১ শিশুসহ ১০ জন, থানচি উপজেলায় ৩ জন এবং বান্দরবান সদর উপজেলায় ৭০ জন, রুমা উপজেলায় ৯ জন এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১ জন।
বান্দরবান জেলা: মে মাসে ৩১ জন
সপ্তাহ | আক্রান্তের সংখ্যা | মোট আক্রান্ত |
১-২৪ মে | ২৪ মে পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ জন | ১৭ জন |
চতুর্থ সপ্তাহ | ২৫ মে আক্রান্ত হয় ২ জন,
২৭ মে আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন, ২৯ মে আক্রান্ত হয়েছে ৫ জন, ৩১ মে আক্রান্ত হয়েছে ৩ জন। |
১৪ জন |
মোট | মে মাসে | ৩১ জন |
বান্দরবান জেলা: জুন মাসে ১৯ দিনে (১-১৯ জুন) ৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছে।
সপ্তাহ | আক্রান্তের সংখ্যা | মোট আক্রান্ত |
প্রথম সপ্তাহ | ১ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন,
৩ জুন আক্রান্ত হয়েছে ২ জন, ৬ জুন আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন, ৭ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৩ জন। |
১৮ জন |
দ্বিতীয় সপ্তাহ | ৯ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১৪ জন,
১০ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৮ জন, ১১ জুন আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন, ১৩ জুন আক্রান্ত হয় ১ জন, ১৪ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন। |
৩১ জন |
তৃতীয় সপ্তাহ (৪ দিনে) | ১৫ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন,
১৭ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৮ জন, ১৮ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১৭ জন। |
২৯ জন |
মোট | ১৯ দিনে (১-১৯ জুন) | ৭৮ জন |
বান্দরবান জেলায় ২৪ মে পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭ জন। এরপরে গত ২৫ মে আক্রান্ত হয় ২ জন, গত ২৭ মে আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন, গত ২৯ মে আক্রান্ত হয়েছে ৫ জন, গত ৩১ মে আক্রান্ত হয়েছে ৩ জন।
গত ১ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন, গত ৩ জুন আক্রান্ত হয়েছে ২ জন, গত ৬ জুন আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন, গত ৭ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৩ জন, গত ৯ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১৪ জন, গত ১০ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৮ জন, গত ১১ জুন আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন, গত ১৩ জুন আক্রান্ত হয় ১ জন, গত ১৪ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১ জন, গত ১৫ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন, গত ১৭ জুন আক্রান্ত হয়েছে ৮ জন, গত ১৮ জুন আক্রান্ত হয়েছে ১৭ জন।