হিল ভয়েস, ১৮ মে ২০২০, ঢাকা: গত ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার কালাচাঁদপুর এলাকায় ৩ জন গারো মহিলাকে বাড়িওয়ালা কর্তৃক নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কালাচাঁদপুরের ৯৯/ক পাকা মসজিদ এলাকায়। বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম, তার স্ত্রী ও ছেলে মিলে ভাড়াটিয়া শুভ্রা ঘাগ্রা ও তার দুই মেয়ের ওপর চড়াও হন বলে জানা গেছে।
ঘটনার শিকার শুভ্রা ঘাগ্রা জানান, তার দুই মেয়ে কাঁচা বাজারের উদ্দেশ্যে বিকেলে বাইরে গিয়েছিলেন। বাজার থেকে ফিরে তারা দেখেন ফ্লাটের প্রধান ফটক বন্ধ। দারোয়ানকে গেট খুলতে বললে দারোয়ান তাদেরকে জানান, বাড়ির মালিকের নির্দেশ আছে, আপানাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
এ অবস্থায় বাড়ির মালিককে ডাকতে বললে দারোয়ার বাড়ির মালিকেকে ডেকে নিয়ে আসেন। বাড়ির মালিক এসেই দুই বোনের ওপর চড়াও হয়ে চড়-থাপ্পর দেন। সাথে সাথে বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও ছেলেও এসে যোগ দেন।
তারা তিন জন মিলে দুই বোনকে চড়-থাপ্পর দেন, ওড়না পেঁচিয়ে গলা টিপে ধরেন। তাদের চিৎকার শুনে মা শুভ্রা ঘাগ্রা দুই মেয়েকে রক্ষা করতে এলে তাকেও মারধর করেন, জামা-কাপড় ছিঁড়ে বিবস্ত্র করেন। পরে তাদের ৩ জনকে বাইরে রেখে গেট বন্ধ করে দেন।
নিরুপায় হয়ে আনুমানিক রাত ১০টার দিকে তারা গুলশান থানায় গিয়ে জিডি করলে থানার দারোগাসহ পুলিশ তাদের সাথে করে এসে বাড়ির মালিকের সাথে কথা বলে তাদের বাসায় ঢুকিয়ে দিয়ে যান। আর তাদেরকে বলে যান, আগামীকাল সিসি ফুটেজ দেখে তারা ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। খোঁজ-খবরও নেয়া হয়নি।
ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা জানান, ঘটনার দিন সকালে বাড়ির মালিক বাসা ভাড়া নিতে আসেন। সেসময় বাড়ির মালিককে তারা জানান, এ মাসে তারা বাসা বাড়া দিতে পারবেন না, পরে দিয়ে দেবেন। এখন তাদের চাকরি নেই, বেতন নেই। বাড়িওয়ালা নাকি এ কথা মানতে চান না। এ নিয়ে বাড়িওয়ালার সাথে তাদের সামান্য কথা কাটাকাটি হয়।
এ কারণেই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয় বলে তাদের দাবি। তাদের দাবি, তারা সবসময় বাড়া দিয়ে আসছেন, কোন মাসেই বাকি রাখেন না। এই একটা মাস না মানার তো কোন কারণ দেখি না। তারা এর সুস্থ সমুচিত বিচার চান বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
ভিকটিমদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার উত্তর খয়রাকুড়ি (চিনাবিল) গ্রামে।
সূত্র: খু•রাং দ•আমেক