হিল ভয়েস, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ১নং জুরাছড়ি ইউনিয়নের সাপছড়ি গ্রামে নিজের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে রূপায়ন চাকমা সুকোমল, পীং-ফলোমনি চাকমা নামে এক জুম্ম অন্যায়ভাবে সেনাবাহিনীর মারধর ও হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী রূপায়ন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার ৩নং বর্মাছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উগুদোছড়ি গ্রামে বলে জানা গেছে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি ট্যাক্সির ড্রাইভার।
গতকাল (২৭ সেপ্টেম্বর) জুরাছড়ির বনযোগীছড়া সেনা জোনের অধীন লুলাংছড়ি সেনা ক্যাম্পের সেনাবাহিনী কর্তৃক এই ঘটনা ঘটে। গতকালই রূপায়ন চাকমা লক্ষীছড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে লুলংছড়ি সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার জনৈক সুবেদারের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সেনাদল রূপায়ন চাকমাকে উগুদোছড়ি গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। এরপর রূপায়ন চাকমার স্ত্রী স্থানীয় কার্বারিদের (গ্রাম প্রধান) সহযোগিতা নিয়ে লুলাংছড়ি সেনা ক্যাম্পে যান এবং তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানালে সেনা সদস্যরা রূপায়ন চাকমাকে ছেড়ে দেন।
এরপর স্ত্রী, গ্রামের কার্বারিরা সহ রূপায়ন চাকমা শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসেন এবং দুপুরের খাবারের পর বিশ্রাম নিতে শুরু করেন।
দুপুর ২টার দিকে উক্ত সুবেদারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল আবারও রূপায়ন চাকমাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে ধরে লুলাংছড়ি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং সেনা সদস্যরা রূপায়ন চাকমাকে ব্যাপক মারধর করে।
পরে আবার রূপায়ন চাকমার স্ত্রী গ্রামের কার্বারিসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে ক্যাম্পে গেলে তখন সেনা সদস্যরা রাত ৮:৪০টার দিকে কার্বারিদের জিম্মায় রূপায়ন চাকমাকে ছেড়ে দেয়।
জানা গেছে, সেনা সদস্যরা রূপায়ন চাকমার কোনো দোষ খুঁজে না পেলেও সম্প্রতি খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত সহিংস ঘটনার ব্যাপারে তিনি গুজব ছড়াচ্ছেন এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তাকে মারধর করে।