হিল ভয়েস, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে উত্তর ত্রিপুরা জেলায় সম্প্রতি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ও মুসলিম সেটেলারদের কর্তৃক আদিবাসী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বৌদ্ধ সমাজ কল্যাণ সমিতি’র উদ্যোগে একটি সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বরাবরে উক্ত হামলা ও হত্যাকান্ডের বিষয়ে হস্তক্ষেপের অনুরোধসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপিও প্রেরণ করা হয়েছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কাঞ্চনপুর এলাকার চাগালা কার্বারি গুণবান চাকমা। সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জম্বুদ্বীপ বৌদ্ধ বিহারের সম্পাদক চন্দ্রগুপ্ত বড়ুয়া, চাকমা রেজ্য পরিষদের এডুকেশন সেক্রেটারি অনিরুদ্ধ চাকমা, বৌদ্ধ সমাজ কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সুজিত সিংহ বড়ুয়া, বৌদ্ধ সমাজ কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি পিন্টু চাকমা, চাকমা ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (সিএনসিআই) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শোভারঞ্জন চাকমা, কাঞ্চনপুর বাজার কমিটির সেক্রেটারি তাবুল বড়ুয়া, জম্বুদ্বীপ বৌদ্ধ বিহারের সদস্য বনমালী বড়ুয়া, বৌদ্ধ সমাজ কল্যাণ সমিতির কোষাধ্যক্ষ জ্যোতিষ চাকমা, কাঞ্চনপুর পূর্ব চাগালার সভাপতি জ্যোতিষ চাকমা, বৌদ্ধ সাধনা মন্দিরের প্রেসিডেন্ট সুনীল বড়ুয়া, লালজুরী চাগালার প্রেসিডেন্ট নয়ন চাকমা, জম্বুদ্বীপ বৌদ্ধ বিহারের তপন বড়ুয়া, ষোলো আনি পঞ্চায়েত আগেড়ে দেরগাং এর সেক্রেটারি অতুল চাকমা, ষোলো আনি পঞ্চায়েতের সুদোম সেক্রেটারি অঘোর কুমার চাকমা, ষোলো আনি পঞ্চায়েতের কার্বারি গোপাল চাকমা।
মিছিলে ও সমাবেশে খাগড়াছড়িতে ও রাঙ্গামাটিতে আদিবাসী জুম্ম ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, হত্যা ও অগ্নিসংযোগ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এছাড়া অবিলম্বে আদিবাসীদের উপর হামলা বন্ধ, আদিবাসীদেরকে হত্যা, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাশাসন প্রত্যাহার ইত্যাদি দাবি জানানো হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মোদীর বরাবরে প্রেরিত স্মারকলিপিতে নিম্নোক্ত ৫ দফা দাবি জানানো হয়-
১. বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ এবং সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা;
২. বাংলাদেশ সরকারকে বাংলাদেশের বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিস্টিয়ান ইত্যাদি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে;
৩. পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়েল আইন ১৯০০ অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা;
৪. ধ্বংসপ্রাপ্ত বৌদ্ধদের বিহার ও হিন্দুদের মন্দির মেরামত ও পুননির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে বরাদ্দ দিতে হবে; এবং
৫. বাস্তুচ্যুত, আহত ব্যক্তি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহের জন্য পর্যাপ্ত জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদান করা।