কাউখালীতে ইউপিডিএফ কর্তৃক মানববন্ধনের জন্য গ্রামবাসীদের জোরজবরদস্তি, ৪ জনকে মারধর

হিল ভয়েস, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রাঙ্গামাটি: গতকাল (২২ সেপ্টেম্বর) পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) একটি দল জোরজবরদস্তি করে রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামবাসীদের ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়া বাজাওে একটি মানববন্ধন করার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে।

জোরজবরদস্তি করতে গিয়ে ইউপিডিএফ সদস্যরা ৪ গ্রামবাসীকে ব্যাপক মারধর করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

মারধরের শিকার গ্রামবাসীরা হলেন- ১. ধন চাকমা (৪০), পিতা-মজা চাকমা, গ্রাম-জনুমাছড়া, ঘাগড়া; ২. জগদীশ চাকমা (৫৫), পিতা-রাম মোহন চাকমা, গ্রাম-জনুমাছড়া, ঘাগড়া; ৩. আবেল চাকমা (২৫), পিতা-রূপমনি চাকমা, গ্রাম-জনুমাছড়া, ঘাগড়া এবং ৪. হিমেল চাকমা, পিতা-জগদীশ চাকমা, গ্রাম-জনুমাছড়া, ঘাগড়া।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সকাল পৌনে এগারটার দিকে ইউপিডিএফ সদস্যরা প্রায় তিন শতাধিক লোকজনকে জোরপূর্বক ঘাগড়া বাজারে নিয়ে মানববন্ধন করার চেষ্টা করে। এজন্য ইউপিডিএফ সদস্যরা কাউখালি সদরসহ বাদলছড়ি, ঘিলাছড়ি, পানছড়ি থেকে প্রায় তিন শতাধিক জুম্মকে জোরপূর্বক নিয়ে এসে জনুমাছড়া গ্রামে জড়ো করে।

এসময় গ্রামের কার্বারি সহ গ্রামবাসীরা বিরাজমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তারা গতকাল অনুষ্ঠান করতে পারবে না বলে ইউপিডিএফকে জানায়। ফলে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে ওই মানববন্ধন আয়োজন সম্ভব হয়নি।

কিন্তু ইউপিডিএফ সদস্যরা উক্ত ৪ গ্রামবাসীকে ব্যাপক মারধর করে সেখান থেকে চলে যায় বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য, ঘাগড়া বাজারে মানববন্ধন ও সমাবেশ করতে জোরজবরদস্তি ও গ্রামবাসীদের মারধর করার ক্ষেত্রে ইউপিডিএফের যে নেতারা নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে জানা যায় তাদের পরিচয় নিম্নরূপ:

১. রবি চন্দ্র চাকম (৫০), অর্থ সম্পাদক, ইউপিডিএফ কেন্দ্রীয় কমিটি, পিতা: রশিদ কুমার চাকমা, গ্রাম: শুকনাছড়ি, কাউখালী, রাঙ্গামাটি;

২. বিদ্যা রঞ্জন চাকমা(৪৬), পরিচালক, ইউপিডিএফ, কাউখালী, পিতা: অজ্ঞাত, গ্রাম: বড় পুল পাড়া, নানিয়াচর, রাঙ্গামাটি।

৩. কান্তি চাকমা (৪৭), সামরিক বিভাগ প্রধান, কাউখালী, পিতা: অজ্ঞাত, গ্রাম: কজইছড়ি, কাউখালী, রাঙ্গামাটি।

More From Author