হিল ভয়েস, ২ জুলাই ২০২৪, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ও মগবান ইউনিয়ন এলাকার জুম্ম গ্রামে সেনাবাহিনী কর্তৃক উপর্যুপরি হয়রানিমূলক টহল অভিযান পরিচালনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকার জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুন ২০২৪ বরকল উপজেলার সুবলং সেনা ক্যাম্প থেকে ক্যাপ্টেন মোঃ শফিক এর নেতৃত্বে ১৬ জনের একটি সেনাদল প্রথমে রাঙ্গামাটির বালুখালী ইউনিয়নের বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান গ্রহণ করে। এরপর সেখান থেকে সেনাদলটি বটতলী গ্রাম এলাকায় টহল অভিযান চালায়। এসময় সেনা সদস্যরা বটতলী এলাকার প্রমেশ কান্তি চাকমা (৫৫), পীং-করুণা লাল কার্বারি ও সজীব চাকমা (৩৫), পীং-মিলন কান্তি চাকমার বাসায় গিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে এবং তাদের সাথে ছবি তোলে। অপরদিকে গ্রামের কার্বারি অরুণ কার্বারিকে ডেকে তাকেও বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর সেনা সদস্যরা ট্রলারে কাইন্দ্যামুখ পাড়া হতে নোয়াপাড়া হ্রদ এলাকায় টহল অভিযান চালায়। পরদিন (২৭ জুন) সকালে ৮টার দিকে সেনাদলটি ক্যাম্পে ফিরে যায়।
দিনে ও রাতে এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থান, টহল অভিযান ও জিজ্ঞাসাবাদের কারণে গ্রামের জুম্মদের মধ্যে ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে বলে জানা যায়।
অপরদিকে, একইদিন (২৬ জুন) রাঙ্গামাটির মগবান ইউনিয়নের গবঘোনা সেনা ক্যাম্প থেকে সুবেদার রিচার্জ এর নেতৃত্বে ১২ জনের একটি সেনা টহল দল সিংপ্রু মারমা নামে এক দোকানদারকে খোঁজ করে বলে জানা যায়।
গত ২৬ জুন, বালুখালীর রাজমনি পাড়া সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মোঃ আজিজ এর নেতৃত্বে একটি সেনাদল বালুখালি এলাকার প্রদীপ কুমার চাকমা (৪৫), পীং-মিলন কান্তি চাকমার বাড়িতে যায়। এসময় সুবেদার মোঃ আজিজ প্রদীপ কুমার চাকমাকে এই বলে হুমকি দেয় যে, কেচকি জালের ব্যবসা নিয়ে মোঃ লালমিয়া (৫৩), পীং-হাতেম আলী (বর্তমানে রাঙ্গামাটির কেরানি পাহাড় এলাকায় থাকেন) এর সাথে তার যে সমস্যা রয়েছে সেটা যেন সমাধান করে, না হলে পরবর্তীতে কী হবে বলা যায় না।
গত ২৮ জুন, রাত ৭:৩০ টায় রাজমনি পাড়া সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মোঃ আজিজ এর নেতৃত্বে ১৫ জনের একটি সেনাদল মরিচ্যাবিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মরিচ্যাবিল বৌদ্ধ বিহার এলাকায় টহল অভিযান চালায় বলে জানা যায়।