মিতুল চাকমা বিশাল
সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম বৌদ্ধ, হিন্দু ও খ্রীষ্টানদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কর্মসূচি প্রায়ই হতে দেখা যায়। বিশেষ করে আর্থিক সুবিধা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, গৃহ নির্মাণ, গরু-ছাগল পালন, সুদমুক্ত ঋণ ইত্যাদির লোভে বান্দরবান জেলায় ধর্মান্তরিতকরণ চলছে। ‘উপজাতীয় মুসলিম আদর্শ সংঘ’, ‘উপজাতীয় মুসলিম কল্যাণ সংস্থা’ এবং ‘উপজাতীয় আদর্শ সংঘ বাংলাদেশ’-এর মতো সংগঠন এবং এসব সংগঠনের মাধ্যমে জুম্ম জনগণকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার কাজ চলছে। এছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্রের নাকের ডগায় পাহাড়ে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ)সহ বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে।
২০১১ সালের আদমশুমারির হিসেবটা এখানে আপাতত উল্লেখ করছি না, কেননা চিত্রটা একই। তাহলে কি দেখা যাচ্ছে? খ্রীষ্টানায়ন নাকি ইসলামায়ন? এই পরিসংখ্যান দেখে যে কেউ চোখ বন্ধ করেই বলে দিবে পাহাড়ে খ্রীষ্টানীকরণ নয় বরং ইসলামীকরণ হচ্ছে। আর এটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির প্রথম খন্ডের প্রথম ধারাকেই লংঘন করছে। কেননা সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘উপজাতি অধ্যুষিত’ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের বিধান রয়েছে। কিন্তু জনগণনা থেকে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে যে, সেই বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের বদলে বরং বৈশিষ্ট্য বিলুপ্তকরণের কাজ চলছে।
তাহলে তথাকথিত সেই ভদ্রলোক জাকির হোসেইন কি বাংলাদেশের জনগণনা বিষয়ে কোনো ধ্যান-ধারণা রাখেন? আদমশুমারিতে যখন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে এবং তাও সরকারের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দলিলে, তারপরেও এই কৃত্রিম বুদ্ধিজীবীদের দল কিভাবে দাবি করতে পারে পাহাড়কে খ্রীষ্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে। এই ভদ্রলোক এতটাই তোষামোদপ্রিয় যে, লিখতে গিয়ে শান্তিবাহিনীর লড়াইকেও বিদেশী ষড়যন্ত্রের ফল হিসেবে দেখা শুরু করেছেন এবং সেটাও নাকি তার সেই কল্পিত খ্রীষ্টান রাষ্ট্র গঠনের অংশ।
বড় অবাক লাগে, এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হয় কী করে! সমাজ এবং দেশকে এরা কী দিচ্ছে! এই মহাশয়ের মূল্যায়নে কি এটাও আসে না যে, যদি শান্তিবাহিনীর আন্দোলন বিদেশি শক্তির দ্বারা প্রভাবিত বা শান্তিবাহিনীর আন্দোলনে বিদেশি শক্তির ইন্ধন থাকতো তাহলে তৃতীয় পক্ষের কোনোপ্রকার উপস্থিতি বা সহযোগিতা ছাড়া ‘পার্বত্য চুক্তি’ র মত একটি ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদন করা যেতো না!
বাসস্তিক অর্থে জনসংহতি সমিতির আন্দোলন কোনোদিনই কোনো একক ধর্ম কিংবা জাতি নিয়ে ছিল না, এখনও নেই। জনসংহতি সমিতি ধর্মনিরপেক্ষতা, সম-অধিকারে বিশ্বাসী। সুতরাং তার সৃষ্ট আন্দোলনে ধর্মের বিষয়টি একেবারেই উহ্য।
পাহাড়ে অবশ্যই খ্রীষ্টান মিশনারীরা কাজ করছে, কিন্তু একইসাথে ইসলামিক বিভিন্ন সংস্থাও সেই একই কাজ করছে। তুলনামূলকভাবে খ্রীষ্টান মিশনারীদের চাইতে ইসলামিক সংস্থাগুলোর কাজ অতি মাত্রায় মৌলবাদী, আগ্রাসী এবং রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত। খ্রীষ্টান মিশনারীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ধর্মপ্রচার নিয়ে কাজ করলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় জেহাদ নয়। কিন্তু ইসলামিক সংস্থাগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য রাজনৈতিক এবং এটা অবিসংবাদিত। আরব বিশ্বে ইসলাম সম্প্রসারণের অন্যতম হাতিয়ার এটিই। ইসলাম যখনই ধর্ম থেকে রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, তখন থেকেই তাদের বিজয় যাত্রা সূচিত হয়েছে (সুত্র: আরব জাতির ইতিহাস-পি.কে হিট্টি)। অতএব, ইসলাম ধর্ম প্রচারের সাথে রাষ্ট্র, রাজনীতি বিষয়গুলো আবশ্যিকভাবে জড়িত। তাহলে পাহাড়ে ইসলামিক সংস্থাগুলোর লক্ষ্যও নিশ্চয়ই এর ভিন্ন অন্য কিছু নয় এবং এটা অনস্বীকার্য যে, অমুসলিম অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুসলিম অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামে রূপান্তরিত করে ভূমি দখল ও জাতিগত বিলুপ্তিকরণের এক মহাযজ্ঞ চলছেই।
এই তো গত ৩০ মে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলিকদমের তারিক বিন ইউনুছ নামের এক ধর্মীয় মৌলভী তার ফেইসবুক একাউন্টে একজন ধর্মান্তরিত ত্রিপুরা (ইব্রাহিম ত্রিপুরা)-র নামাজের ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, উক্ত ইব্রাহিম ত্রিপুরা ছাড়াও আরো কতক কোমলমতি শিশুকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। আর সবচেয়ে আর্শ্চয্যের বিষয় এই যে, লোকটি জামায়েত ইসলামীর লোক। তার প্রতিটি পোস্টে জামায়েত ইসলামী সম্পর্কিত লেখা আছে। পাহাড়ের বাইরে জামায়েতী ইসলামীকে একেবারে কোনঠাসা করার ধান্ধা চলছে আর পাহাড়ে চলছে তাদের মোটাতাজাকরণ! আপনারা বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, আলিকদম, লামা ও থানচিতে ঘুরে দেখুন, প্রতিটি জায়গায় দেখবেন পাহাড়িদের অর্থনৈতিক দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার নাম দিয়ে সেখানে ধর্মান্তরিতকরণের এক মহোৎসব চলমান রয়েছে। আর এটাকে নিশ্চয়ই খ্রীষ্টানীকরণ বলা চলে না। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রের সুপরিকল্পিত ইসলামিকরণ।
পাহাড়ে খ্রীষ্টান রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে- এই রকম উদ্ভট বক্তব্যগুলোর পেছনে আরেকটি কারণকে সামনে আনা হয়েছে সেটা হচ্ছে হালের সৃষ্ট ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’। কিন্তু সত্যি বলতে এই কেএনএফ যদিও রাষ্ট্রীয় মদদে বম জনগোষ্ঠীর তথা খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীর গুটিকয়েক লোকেদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, তদুপুরি এদের আসল উদ্দেশ্যটা ছিল একদিকে পাহাড়ে ইসলামীকরণে সহযোগিতা করা, অন্যদিকে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। তারা কোনোভাবেই খ্রীষ্টানীকরণের কাজে যুক্ত ছিল না। বরং এদেরকে দিয়ে রাষ্ট্রের একটি মহল পাহাড়ে জঙ্গীগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাহাড়ে ইসলামীকরণের কাজকে ত্বরাণ্বিত ও পাকাপোক্ত করতে চেয়েছে এবং এখনও করছে। ২০০৮ সালে সৃষ্ট কেএনডিও-কে নিরাপত্তা বাহিনী মদদ দিয়ে সেটাকে একটি রাজনৈতিক সংগঠনে রূপান্তরকরণের কাজ চালানো হয়েছে। এরই লক্ষ্যে ২০১৩ সালে সেনাবাহিনীর তৎকালীন বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সায়েদ সিদ্দিকী স্বয়ং উক্ত কেএনডিও-এর কার্যালয় উদ্ধোধন করেন এবং ২০১৫ সালে একেবারে তৎকালীন চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাব্বির আহমেদ গিয়ে সেই কার্যালয় পরিদর্শনও করেন।
সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তা প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছেন যে, তারা নানাভাবে এই কেএনএফ-কে সহযেগিতা দিয়েছে। ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারর রুমা ২৮-বীর এর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেঃ কর্নেল হাসান শাহরিয়ার ইকবাল তো প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘‘নাথান’রা বলতো তারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। তার জন্যে কেএনডিও প্রতিষ্ঠা করতে এবং প্রতিষ্ঠার পরেও অর্থ দিয়ে এবং নানাভাবে আমরা তাদেরকে সহযোগিতা দিয়েছিলাম।” এক আলোচনায় তো সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মারুফ বলেছেন যে, কেএনএফ সেনাবাহিনীরই ইন্টারেস্ট গ্রুপ, এটি সেনাবাহিনীই সৃষ্টি করেছে। যার উদ্দেশ্য ছিল জনসংহতি সমিতির আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করা এবং পাহাড়ে ইসলামীকরণ। যেকারণে কেএনএফের সাথে ইসলামী জঙ্গীগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততাকে সেনাবাহিনী দেখেও না দেখার ভান করে প্রকারান্তরে প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা না থাকলে নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নাগের ডগায় অবস্থিত থানচি ও রুমাতে ব্যাংক ডাকাতি করানো সম্ভব নয় কিংবা নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্রও লুট করানো সম্ভব নয় তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। বলাবাহুল্য, বস্তুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একেবারে প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতেই ব্যাংক ডাকাতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। আর সেই জায়গাতে দাঁড়িয়ে একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নামধারী লোকটি কিনা নির্দ্বিধায় বলে গেলেন, কেএনএফ সৃষ্টির পেছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে! কেএনএফ-কে দিয়ে খ্রীষ্টান রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে!
এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, ২০১৯ সালের দিকে কেএনএফের ৪২ জনের একটি গ্রুপ বার্মার কাচিনে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে যায়। কিন্তু তারা কোনোভাবেই কেএনএফ সংগঠনের নাম দিয়ে ঐ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেনি। বরং চিন হিলের চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের পাঠানো রিক্রুটদের সাথেই তারা গিয়েছিল। সিএনএফ-এর সাথে কথা ছিল, উক্ত ৪২ জন সিএনএফের হয়ে কাজ করবে বামা সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রশিক্ষণকালীন তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন মারা যায় এবং বাকিদের অনেকেই পালিয়ে আসে। আর অবশিষ্টরা কৌশলে সিএনএফ-এর সাথে কথা বলে বাংলাদেশে চলে আসে। এ থেকে বোঝা যায় তখনও পর্যন্ত কেএনএফের নাম ব্যবহার করে নাথান বম-রা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেনি।
তাছাড়াও একই বংশোদ্ভূত হওয়া সত্ত্বেও সিএনএফ কখনই কেএনএফ-কে প্রশ্রয় দেয়নি এবং সহযোগিতাও দেয়নি। তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের দাবী বার্মার সিএনএফ, কেআইএ, নাগল্যান্ডের এনএসসিএন কিংবা মণিপুরের জেডআরএ ও কেএনএফ বাংলাদেশের বম জনগোষ্ঠীর কতিপয় লোকেদের দ্বারা সৃষ্ট কেএনএফ-কে সমর্থন দেয়, সহযোগিতা দেয়। কিন্তু বাস্তব চিত্রটি সম্পূর্ণ এর বিপরীত (এখানে সবিস্তারে চিন হিল, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের চিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয়)। সুতরাং কেএনএফ-কে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-রাজনৈতিক চিত্র আঁকা এবং এর মূল্যায়ন করাটা হচ্ছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বৈ কিছু নয়।
তদুপুরি বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র, লেজুরপন্থী আমলা-বুদ্ধিজীবীরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন লেখনীতে রাষ্ট্রীয় সৃষ্ট কেএনএফ-এর সাথে বহিঃদেশের অধিকারকামী সংগঠনগুলোর একটা সম্পর্ক খোঁজার বৃথাচেষ্টা করেই চলেছে। চাক্ষুস প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তারা কোনোভাবেই কেএনএফ-কে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র সৃষ্ট বলতে নারাজ। এমনকি কেএনএফের জঙ্গী সম্পৃক্ততাকেও তারা এখন পাশ কাটিয়ে শুধুমাত্র কল্পনাপ্রসূত এক ভূ-রাজনৈতিক চিত্র অঙ্কনের চেষ্টা করে চলেছে। যার ফলে পাহাড়ের মূল সমস্যাটিকে পাশ কাটিয়ে তারা কখনও বহিঃশক্তির ষড়যন্ত্রের ছবি দেখে, কখনও বা অস্ত্রবাজির ছবি দেখে। এখন শুরু হয়েছে নয়া ট্রেন্ড ‘ভূ-রাজনীতি’, ‘খ্রীষ্টান রাষ্ট্র গঠন’।
স্মর্তব্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সমস্যা রাজনৈতিক। এটিকে পাশ কাটিয়ে সমাধানের অন্য উপায়ের খোঁজ করার অর্থই মাথায় না ধরে লেজে ধরার মতন। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি যে পরিবর্তনের দিকে ধাবিত হচ্ছে, তা চলমান হাল-চালের আলোচনা-সমালোচনা প্রত্যক্ষ করলেই বুঝতে অসুবিধে হয় না। একটি পক্ষ সবসময়ই পাহাড়কে নিয়ে একধরনের উপস্থাপনের রাজনীতি করে আসছে। সেটি চায় না পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসুক, তারা চায় না পাহাড়ের মানুষগুলো তাদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাক, তারা চায় না পার্বত্য চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হোক। তারা চায় পাহাড়ের চুড়ায় চুড়ায় আযানের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হোক, তারা চায় পাহাড় তাদের সৈন্যদের যুদ্ধ প্রস্তুতির পশ্চাদভূমি হয়েই থাকুক। তজ্জন্যেই পাহাড়কে নিয়ে রাজনৈতিক চক্রান্তের শেষ নেই।
এতদিন কেবল রাজনৈতিক সংগঠনের নাম দিয়ে সশস্ত্র সংগঠন সৃষ্টি করে দেয়াতেই তারা সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু তাদের সেই চক্রান্ত জুম্ম জনগণকে বিভাজিত করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন তারা পাহাড়ে জাতিগত বিভাজনের উন্মত্ত খেলা শুরু করেছে আরো উলঙ্গভাবে, আরো উচ্ছৃঙ্খলভাবে। আর এর সঙ্গে বলপূর্বক জুড়ে দিচ্ছে ভূ-রাজনীতিকে। কিন্তু এসবের মধ্য দিয়ে আন্তরিকতার ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা কেউই উপলব্ধি করতে পারছে না। দূরত্ব বাড়ালে দূরত্ব বাড়ে, এই অমোঘ কথাটি রাষ্ট্র এবং সরকার বারেবারেই ভুলে যায়। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার প্রকৃত রাজনৈতিক সমাধান চায়। তজ্জন্য জুম্ম জনগণ সদা-সর্বদা সক্রিয় ও তৎপর রয়েছে।
(সমাপ্ত)
+ There are no comments
Add yours