হিল ভয়েস, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বিশেষ প্রতিবেদক: গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, রাত আনুমানিক ৮টায় পটুয়াখালি জেলাধীন কুয়াকাটা উপজেলার কুয়াকাটা পৌরসভা মেয়রের শ্রমিকরা কুয়াকাটা উপজেলার কেরানি পাড়া সংলগ্ন শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের ভূমি বেদখলের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইতোপূর্বে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র রাখাইন মার্কেট সংলগ্ন শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের জায়গায় গণশৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু করার চেষ্টা করেন। এতে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের কর্তৃপক্ষ প্রতিবাদ জানান এবং গণশৌচাগার নির্মাণ প্রক্রিয়া বন্ধের জন্য উচ্চ আদালতের আদেশ প্রদর্শন করেন।
উল্লেখ্য যে, ১৯৪৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর তৎকালীন কেপু পাড়ার বসতিস্থাপন কর্মকর্তা (কলোনাইজেশন অফিসার) কর্তৃক কেরানি মারমা পাড়ার জনগণের পক্ষে নোলাউ মারমাকে সরকারিভাবে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের ২.৪৪ একর জায়গাটি হস্তান্তর করেন এবং তা ৭ নভেম্বর ১৯৪৭ দলিলপত্র নং ৭ এর মাধ্যমে রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
অথচ ওই ঘটনার রাত্রে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়রের শ্রমিকরা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের কর্তৃপক্ষের সাথে কোনো পরামর্শ ব্যতিরেকে গণশৌচাগারের সারি (টেরাস) সমান করার কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি ও কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্র বংশ কুয়াকাটা পৌরসভা মেয়রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে এবং উক্ত নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য পটুয়াখালি জেলার ডেপুটি কমিশনারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ পেশ করেন।
ঘটনাটি শুনে সুশীল সমাজের সংগঠনসমূহ এই ভূমি বেদখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান এবং তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালি জেলার ডেপুটি কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করেন। ডেপুটি কমিশনার নির্মাণ কাজটি বন্ধে এবং আগামীতে সকল পক্ষকে সম্পৃক্ত করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।