হিল ভয়েস, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বান্দরবান: বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার বিভিন্ন পাড়া থেকে কেএনএফ কর্তৃক বড়দিন উপযাপন উপলক্ষে চাঁদাবাজি, হাস-মুরগী ও ছাগল ছিনতাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও, রুমা-রোয়াংছড়ি সড়কে বাইক ও গাড়ি আটকিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১৬ ডিসেম্বর ) সকাল ৭ ঘটিকায় রুমা উপজেলার ১নং পাইন্দু ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে ছাংদালা পাড়ায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা অস্ত্র দেখিয়ে একটি মোরগ নিয়ে যায়। এরপর সকাল ১০ ঘটিকার সময় সাংনাক্র পাড়ায় প্রবেশ করে পাড়ার বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে বিহারে অবস্থানরত বিহার অধ্যক্ষ ও পাড়াবাসীকে পাড়ার মাঝখানে জড়ো করে রাখে। এরপর পাড়া থেকে ৫টি মুরগী ও ১টি ছাগল নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ভান্তে ও পাড়াবাসীকে হুমকি দিয়ে যায় যে, কোন নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে জানালে এর পরিণাম খুব ভয়াবহ হবে।
বর্তমানে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা ছাংদালা ও সাংনাক্র পাড়ায় অবস্থান করছে বলে জানা যায়।
অন্যদিকে, একই দিনে (১৬ ডিসেম্বর) কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ১২ জনের আরেকটি দল সকাল ৯ ঘটিকার সময় রুমা উপজেলার ২নং রুমা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ শৈরাতং পাড়ার সাতকিলো নামক স্থানে রুমা বাজারের কলা ব্যাবসায়ী মো: জামশেদ, পীং- মৃত বাদশা মিয়ার কাছ থেকে বাইক আটকিয়ে ৭০,০০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে বম সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীদের সাহায্যে উক্ত ৭০,০০০ টাকা দুই ঘন্টা পর ফেরত দেয় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। টাকা ফেরত দেওয়ার সময় বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে সন্ধ্যা ৭.৩০ ঘটিকার সময় বিকাশে (০১৫৭৫৪৪৩৭৫৫) এই নাম্বারে ৫,০০০ টাকা পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয় বলে জানান ভিকটিক মো: জামশেদ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, রুমা উপজেলায় বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন পাড়ায় থেকে এবং গাড়ি থামিয়ে ও ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে অতিরিক্ত হারে দাবি করছে এবং ভবিষ্যতে চাঁদার পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। বেশির ভাগ সময় ভুক্তভোগী ভয়ের কারণে চাঁদা প্রদানের বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে ভয় পায়