রাঙ্গামাটি সদরে জুম্ম গ্রামে সেনাবাহিনীর হয়রানীমূলক টহল অভিযান

হিল ভয়েস, ১০ অক্টোবর ২০২৩, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলার সদর উপজেলাধীন বালুখালী ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর টহল অভিযানের নামে জুম্ম গ্রামবাসীদের উপর হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি সংগ্রহের নামেও হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

গ্রামবাসীর সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর ২০২৩ রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের মরিচ্যাবিল সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো: আব্দুল্লাহ এর নেতৃত্বে ২০ জনের একটি সেনা টহল দল সকাল ১১টার দিকে কাইন্দ্যা পাড়া ব্রীজের দোকানে এসে গ্রামের লোকজনের উপর ২-৩ ঘন্টা নজরদারী করে বসন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান নেয়। পরে একই দলের হাবিলদার মো: সোহেল ১২৫ নং মৌজার হেডম্যান সন্তোষ চাকমা, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার শেফালী চাকমা, দৌজরী পাড়া গ্রামের কার্বারি মিনতি চাকমা ও মহেন্দ্র লাল কার্বারিকে তলব করে বলে জানা যায়। সেনা সদস্যদের কর্তৃক তাদেরকে হয়রানীমূলক বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয় বলে জানা যায়।

অপরদিকে একই দিন সকাল ৯টার দিকে বরকল উপজেলার সুবলং সেনা ক্যাম্প হতে ১৮-২০ জনের একটি সেনা টহল দল বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে ৮-১০ জনের একটি দল পার্শ্ববর্তী কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় টহল অভিযান পরিচালনা করে বলে জানা যায়। পরে কোনো কিছু না পেয়ে বিকাল ৪টার দিকে সেখান থেকে চলে যায়।

উক্ত টহল অভিযানের ফলে জুম্ম গ্রামবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়।

আরো পড়ুন

https://hillvoice.net/bn/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a6%b2%e0%a7%80-%e0%a6%93-%e0%a6%ae%e0%a6%97%e0%a6%ac/

উল্লেখ্য যে, গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জীবতলী ও মগবান ইউনিয়নে জুম্ম গ্রামবাসীদের ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি সংগ্রহের নামে ৯ জুম্ম গ্রামবাসী সেনাবাহিনীর হয়রানীর শিকার হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর চাপ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মুখে জীবতলী ও মগবান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের উক্ত ৯ জুম্ম গ্রামবাসী তাদের ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি সেনা ক্যাম্পে জমা দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা যায়।

গ্রামবাসীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, সেনাবাহিনী তাদের ব্যক্তিগত তথ্য নিতে পারে না। তারা ভয়ে ব্যক্তিগত তথ্য দিতে বাধ্য হয়েছেন। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, তাদের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে সেনাবাহিনী তাদেরকে বিপদে ফেলার জন্য ব্যবহার করতে পারে।

More From Author