হিল ভয়েস, ১৮ আগস্ট ২০২৩, ঢাকা: আলফ্রেড সরেন হত্যার বিচার নিশ্চিত করা, সমতলের আদিবাসীদের ভূমি রক্ষা ও সমস্যা সমাধানে অতিসত্তর পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা জরুরী বলে আজ জাতীয় আদিবাসী পরিষদের বৃহত্তর ঢাকা কমিটির আলোচনা সভায় আদিবাসী ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দরা দাবি করেছেন। আদিবাসীদের ভূমি শেষ হবার পরে কি সরকার ভূমি কমিশন গঠন করবে?- এমন প্রশ্ন তুলে তারা হতাশা ব্যক্ত করেন।
শহীদ আলফ্রেড সরেন হত্যার ২৩তম বার্ষিকীতে আলোচনা সভা আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট ) সকাল ১১টায় ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ ফোক সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় আদিবাসী পরিষদের বৃহত্তর ঢাকা কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
বৃহত্তর ঢাকা কমিটির সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের বৃহত্তর ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিভূতী ভূষণ মাহাতো, ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশুরাম মূর্মূ, বৃহত্তর ঢাকা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রতিশ টপ্য, দপ্তর সম্পাদক নিরালা মার্ডি, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আন্তনী রেমা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটির সদস্য শান্ত সরেন, প্লাবন হেমব্রম প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন, সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের ৫% কোটা পুনর্বহাল, আদিবাসীদের উপর সংঘটিত সকল অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, উচ্ছেদ বন্ধ করা জরুরি।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ১৮ আগস্ট নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর গ্রামে আদিবাসীদের উপর আক্রমণ করে আলফ্রেড সরেনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আলফ্রেড সরেন ভীমপুর ইউনিয়নের জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি ছিলেন। তিনি বাড়ির পাশের প্রায় ৯৫ একর খাস জমি ভূমিহীনদের জন্য বন্দোবস্তের আন্দোলন করছিলেন। এজন্য ভূমিদস্যু হাতেম আলী ও সীতেশ ভট্টাচার্য ওরফে গদাইয়ের ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনীর বর্শা, বল্লম, চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে নিমর্মভাবে হত্যার শিকার হন। এখনও সেসকল জমি ভূমিদস্যুরাই ভোগদখল করছে।