হিল ভয়েস, ২ জুন ২০২২৩: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের লাইফু কার্বারি পাড়া এলাকায় সেটেলার বাঙালি কর্তৃক অগ্নিসংযোগ করে অন্তত ৭ জন জুম্মর জুমঘর পুড়িয়ে দেয়া ও লুটপাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন ২০২৩) সন্ধ্যা ৭টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যাক্তিরা হলেন- চন্দ্র শিশি ত্রিপুরা (৬০), পীং-মৃত হংকর ত্রিপুরা, গ্রাম- লাইফু কার্বারি পাড়া, বিজয় ত্রিপুরা (২৮),পীং- ত্রিনয়ন ত্রিপুরা, গ্রাম-ঐ, বিপিন ত্রিপুরা (২৯), পীং- বর্ব শংকর ত্রিপুরা, গ্রাম- ঐ, জ্ঞান জ্যোতি ত্রিপুরা (৫২), পীং- বজেন্দ্র ত্রিপুরা, গ্রাম-ঐ, রহিম ত্রিপুরা (৪২), পীং- রমিনী কুমার ত্রিপুরা, গ্রাম-ঐ, দহ ত্রিপুরা (৪৪), পীং- হেরা কুমার ত্রিপুরা, গ্রাম- ঐ ও ধন ভূষণ ত্রিপুরা (৪৬), পীং- চন্দ্র হরি ত্রিপুরা, গ্রাম- ঐ।
প্রত্যক্ষদর্শী মাধ্যমে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার সময় ১০/১২ জন সেটেলার বাঙালি সংঘবদ্ধ হয়ে লাইফু কার্বারি পাড়ায় উক্ত ৭ পাহাড়ির জুম ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাত চালায়। এতে নেতৃত্বে দেন মো. আজিজুল (৫০), পীং- মৃত আমীর উদ্দীন, গ্রাম- হাজিপাড়া।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক জুম চাষী বলেন, আমরা প্রতিদিনের ন্যায় গতকালও সারাদিনের জুমের কাজ শেষে যখন ক্লান্ত শরীরে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম এমন সময় মূখে গামছা বাঁধা অবস্থায় ১০-২০ জন সেটেলার বাঙালি হৈ-হুল্লা করে ধর ধর বলে চিৎকার দিয়ে আমাদের জুম ঘরের দিকে এগিয়ে আসে। তখন আমি বাধ্য হয়ে প্রাণ বাঁচাতে পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ি। সেখান থেকে দেখতে পাই তারা একে একে সাতটি জুমঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। জুম ঘরে রাখা বিভিন্ন ফল শাক সবজি ও ধানের বীজ লুট করে নিয়ে যায়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কীত্তধন ত্রিপুরা বলেন, আমাদের জুম ঘর থেকে ফেরার রাস্তায় পুড়িয়ে দেওয়া জুমঘরগুলোর অবস্থান। আমরা দু’জন (কীত্তধন ও জ্যোতি মালা ত্রিপুরা) জুমের কাজ শেষে যখন বাড়িতে ফিরছি এমন সময় সেটেলার বাঙালিরা আমাদেরকে দেখে ধর ধর বলে চিৎকার করে আমাদের ধাওয়া করলে আমরা কোনমতে সেখান থেকে পুর্বকিকে (কেয়া পাড়ার দিকে) পালিয়ে আসতে সক্ষম হই।