লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজের লীজ বাতিল করার সুপারিশ করেছে পার্বত্য জেলা পরিষদের পরিদর্শন কমিটি

হিল ভয়েস, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, বান্দরবান: লীজ গ্রহণের ৫ বছরের মধ্যে রাবার বাগান সৃজন করার শর্ত লঙ্ঘন করায় লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজকে প্রদত্ত লীজ বাতিল করার সুপারিশ করেছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক গঠিত ‘পরিদর্শন কমিটি’। সেই সাথে উক্ত জমি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে দিয়ে জুম চাষ ও অন্যান্য ফলের চারা রোপনের জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা প্রদান করাসহ মোট ৬টি সুপারিশ পেশ করেছে উক্ত পরিদর্শন কমিটি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল ২০২২ লামা রাবার ইন্ডাষ্টিজ কর্তৃক বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৩০৩নং ডলুছড়ি মৌজার লাংকম পাড়া, জয়চন্দ্র পাড়া ও রেইংয়েন পাড়ায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সৃজিত ফলজ বাগান, গাছ-গাছালি ও গ্রামীন বন কেটে দিয়ে জুম চাষের ৪০০ একরের ভূমি পুড়িয়ে দেয়া হয়। এতে করে পাহাড়ি অধিবাসীরা চরমভাবে খাদ্য ও পানীয় জলের সংকটে পড়ে।

এই বিষয়টি পত্র-পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদ স্বরূপ ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি অধিবাসীরা ত্রাণ-সামগ্রী গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। এমতাবস্থায় সংঘটিত ঘটনাস্থরে পরিদর্শন ও ঘটনার শিকার মানুষের সাথে আলাপ-আলোচনা পূর্বক ত্রান-সামগ্রী গ্রহণে সম্মতকরণ ও ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্যে বান্দরবান পার্বত্যজেলা পরিষদ কর্তৃক ৫ সদস্য-বিশিষ্ট উক্ত পরিদর্শন কমিটি গঠন করা হয়।

উক্ত পরিদর্শন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন বান্দরান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো: মোজাম্মেল হক বাহাদুর এবং সদস্য হিসেবে ছিলেন পরিষদের সদস্য সিংইয়ং ম্রো, পরিষদের সদস্য বাশৈচিং মারমা, পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জিয়াউর রহমান এবং ইউএনডিপি’র এসআই-সিএইচটি প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক খুশীরায় ত্রিপুরা। পরিদর্শন কমিটির সদস্যবৃন্দ গত ১০ মে ২০২২ তারিখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তারা গত ১৯ মে ২০২২ তারিখে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট পরিদর্শন প্রতিবেদন পেশ করেন।

পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন কমিটির ৫ সদস্যবৃন্দ একসঙ্গে বসে সংগৃহীত তথ্যাবলী ও দলিলপত্রাদি বিচার-বিশ্লেষণ পূর্বক সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহকে খতিয়ে দেখে মানবতার দিক বিবেচনা করে সংঘটিত সমস্যার নিরসনের জন্য পরিদর্শন কমিটি নিম্নোক্ত ৬টি সুপারিশ পেশ করেন বলে পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। ৬টি সুপারিশ হলো-

১। লীজকৃত জমি ১৯৯৬ সালে প্রদান করা হয় ৫ বছরের মধ্যে রাবার বাগান সৃজন করার শর্তে। ১৯৯৬ সাল হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও লীজকৃত জায়গার উপর কোন প্রকার রাবার রোপন করা হয়নি। সুতরাং আইনগতভাবে লীজকৃত জায়গার উপর লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের কোন প্রকার বৈধ অধিকার নাই এবং আইন অনুযায়ী বাতিলযোগ্য যা অতিসত্বর বাতিল করার সুপারিশ করা হল।

২। ম্রো ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৩৬টি পরিবারের দাবি অনুযায়ী লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লি: কর্তৃক অবৈধভাবে দখলকৃত ৪০০ একর স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সৃজনকৃত বাগান, গাছ, যা আগুন দেয়া হয়েছে, তা স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে দিয়ে জুম চাষ ও অন্যান্য ফলের চারা রোপনের জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা প্রদান করা হোক।

৩। স্থানীয়ভাবে ত্রাণ বিতরণ হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বিধায় ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারকে পর্যাপ্ত পরিমাণের খাদ্য ও পানি সরবরাহ করা অতীব জরুরী।

৪। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে যাতে কোনভাবেই হয়রানি করা না হয় এবং যারা অগ্নিকান্ড কাজের সাথে জড়িত তাদের যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক শাস্তি নিশ্চিত করা।

৫। এলাকাবাসীর কতিপয় ব্যক্তিদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর সুপারিশ করা গেল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতে যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোন সমস্যা না হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো যাতে কোন হয়রনির শিকার না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ অতীব জরুরী।

৬। রাবার বাগান ও হর্টিকালচারের সৃজনের লক্ষ্যে লীজকৃত সকল জমি পরিমাপ পূর্বক সীমানা নির্ধারণ করা অতীব জরুরী। কেননা লীজকৃত জমির পরিমাণ তুলনায় অধিক পরিমাণের জমি বেদখলে নেওয়ার কারণে স্থানীয় সাধারণ জনগণ চরম হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। একইভাবে আগামীতে কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের নিকট অনুরূপ কাজের জন্য লীজ প্রদান করা হলে সংশ্লিষ্ট মৌজার হেডম্যান ও কানুনগোসহ ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লীজকৃত জমির যথাযথ পরিমাপ ও সীমানা নির্ধারণ জরুরী।

পেশকৃত পরিবদর্শন প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে, পরিদর্শনকালে কমিটির সদস্যবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত লাংকম পাড়া, জয়চন্দ্র পাড়া ও রেইংয়েন পাড়ার কার্বারী, হেডম্যানের প্রতিনিধিসহ গ্রামবাসীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন এবং প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি সংগ্রহ করেন। পরিদর্শন কমিটির সদস্যবৃন্দ লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজের মালিকদের সাথেও সাক্ষাত ও আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু কোম্পানির মালিকবৃন্দ কেউ উপস্থিত হয়নি। তাদের পক্ষে মো: মহসিন রেজা, মো: আবু দাউদ, নিভাষ বালা প্রমুখ ব্যক্তিরা প্রতিনিধিত্ব করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী কর্তৃক দেয়া তথ্য ও সংগৃহীত দলিলপত্রাদি পরীক্ষা করে পরিদর্শন কমিটি উল্লেখ করেছে যে, লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লি:-এর সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিগণের নামে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাবার বাগান সৃজনের জন্য ৪০ বছরের জন্য জমি লীজ নেয়া হয়েছিল। এরপর ২৫ বছর অতিবাহিত হলেও স্থানীয় পাহাড়ি জনগণ উক্ত জমি চাষাবাদ করে আসছিল। বিগত ২৫ বছর যাবত বাগান সৃজনের কোন উদ্যোগ না করে ২০২২ সালে এসে স্থানীয় মানুষের চাষাবাদের জায়গার উপরে জোরপূর্বক দখল করে স্থানীয় জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে লামা রাবার বাগান ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, যা তাদের আইনগত কোন অধিকার নাই।

পরিদর্শন প্রতিবেদনে আরো বলা হয় যে, লীজের শর্তাবলীতে ৫ বছরের মধ্যে রাবার বাগান সৃজন করার বিধান ছিল। কিন্তু অদ্যবধি উক্ত সকল জমিতে রাবার বাগান সৃজন করা হয় নাই। বর্তমানে সেসকল জমির উপর বাগান সৃজনের উদ্যোগ নিয়েছে লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ। ইতিমধ্যে ১,২২৫ এক জমিতে বনায়ন শুরু করেছে। বর্তমানে পুনরায় বাগান সৃজন করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

লীজের শর্তাবলীতে ৫ বছরের মধ্যে রাবার বাগান সৃজন করার বিধান ছাড়াও ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে এসব লীজ বাতিলের বিধান রয়েছে। পার্বত্য চুক্তির ‘ঘ’ খন্ডের ৮নং ধারায় “যে সকল অউপজাতীয় ও অস্থানীয় ব্যক্তিদের রাবার বা অন্যান্য প্লান্টেশনের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে যারা লীজ পাওয়ার পর দশ বছরের মধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেননি বা জমি সঠিক ব্যবহার করেননি সে সকল জমির ইজারা বাতিল করার” বিধান রয়েছে। কিন্তু আজ অবধি সেই ধারা বাস্তবায়িত হয়নি।

এখানে বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে, সরই ইউনিয়নের সরই মৌজায় লামা রাবার ইন্ড্রাষ্টিজ লিমিটেড ৪০ বছরের জন্য ৬৪ জনের নামে দুই মৌজায় (১৯৮৮-১৯৯৪) সর্বমোট ১৬০০ একর জমি লিজ নিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩০০০ থেকে ৩৫০০ একরেরও বেশী ভূমি জবরদখল করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে, যেগুলো আদিবাসী ম্রো ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বংশ পরম্পরায় ভোগদখলীয় জুম ভূমি ও গ্রামীণ বন বলে জানা গেছে।

লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের মালিকদের মধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আল হোসেনী, সাবেক মুখ্য সচিব কে এম রাব্বানী, সাবেক সচিব কামালউদ্দিন, ডা: মোহাম্মদ ফরিদের স্ত্রী, কে এম রাব্বানীর ছোট ভাই ক্যাপ্টেন (অব:) হাবিবী রাব্বানী, রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি রফিকুল করিম এবং তার পরিবারের চারজনসহ মোট ৬৪ জন সামরিক ও বেসামরিক আমলা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা হয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, আশি ও নব্বই দশকে সমতল জেলার অধিবাসীদের নিকট বান্দরবান সদর, লামা, আলিকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সর্বমোট ১,৮৭৭ প্লটের বিপরীতে প্রায় ৪৬,৭৫০ একর জমি ইজারা দেয়া হয়েছে, যে জমিগুলো আদিবাসী পাহাড়িদের শত শত বছর ধরে বংশ পরম্পরায় প্রথাগত আইনানুসারে ভোগদখলীয় জমি।

বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ২০ জুলাই ও ১৮ আগস্ট যথাক্রমে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় বান্দরবান জেলায় অস্থানীয়দের নিকট প্রদত্ত ইজারার মধ্যে যে সমস্ত ভূমিতে এখনো চুক্তি মোতাবেক কোন রাবার বাগান ও উদ্যান চাষ করা হয়নি সেসমস্ত ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত সিদ্ধান্তের আলোকে চুক্তিপত্রের শর্ত লঙ্ঘিত করার কারণে ৫৯৩টি প্লট বাতিল করা হয় এবং জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব শাখা) কার্যালয়ের স্মারক নং-জেপ্রবান/লীজ-১০৬০/ডি/৮০-৮১/২০০৯ তারিখ ২৯/০৯/২০০৯ মূলে আলোচ্য ভূমি সরকারের দখলে আনা হয়।

কিন্তু অত্যন্ত দু:খজনক ও উদ্বেগজনক যে, বান্দরবান পার্বত্য জেলা প্রশাসন দুর্নীতির মাধ্যমে লীজ বাতিলের দু’ মাসের মাথায় স্বারক নং- জেপ্রবান/লীজ মো:নং-১০৬০(ডি)/৮০-৮১/২০০৯ তারিখ ১৯/১১/২০০৯ মূলে বাতিলকৃত প্লটগুলোর মধ্যে প্রায় অধিকাংশ প্লট পুনরায় বহাল করা হয়। অন্যদিকে অবশিষ্ট প্লট কাগজে কলমে বাতিল করা হলেও উক্ত ভূমি প্লট মালিকদের দখলে রয়ে যায়।

পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়া, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়টি পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর না করা, পার্বত্য জেলা পরিষদের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোন ভূমি, পাহাড় ও বন হস্তান্তর ও অধিগ্রহণ না করার বিধান কার্যকর না হওয়া, ভূমি কমিশনের মাধ্যমে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া এবং পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী লীজ বাতিল না হওয়ার কারণে অস্থানীয় ও বহিরাগত প্রভাবশালী ব্যক্তি ও কোম্পানিসমূহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ও যোগসাজসে ইজারা ভূমির নামে হাজার হাজার একর ভূমি জবরদখল করে চলেছে এবং উক্ত জায়গা-জমি থেকে জুম্মদের চলে যেতে হুমকি দিয়ে চলেছে।

যার অন্যতম উদাহরণ হলো লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্তৃক প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ছত্রছায়ায় আদিবাসী পাহাড়িদের উপর একের পর এক হামলা সংঘটিত করা। যেমন, কেবল ২০২২ সালে সংঘটিত এধরনের ঘটনার মধ্যে রয়েছে ৯ এপ্রিল জুম ও ফলজ বাগান কেটে দেয়া, ২৫ এপ্রিল জুম ভূমি পুড়িয়ে দেওয়া, ১৩ জুলাই ভূমি রক্ষায় সোচ্চার নেতৃবৃন্দের উপর হামলা, ১০ আগস্ট বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর, ৬ সেপ্টেম্বর ঝিরির পানিতে বিষ দেওয়া, ১৪ আগস্ট ১১ জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, ১৬ আগস্ট বান্দরবান ডিসি অফিসে অনুষ্ঠিত সভায় লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজকে অধিকাংশ জমি দেয়ার জন্য বীর বাহাদুরের পক্ষপাতমূলক প্রস্তাব, ২৪ সেপ্টেম্বর পাহাড়িদের কলাগাছ কেটে দেওয়া, ২৫ সেপ্টেম্বর পুলিশের সহায়তায় পাহাড়িদের স্কুল নির্মাণে বাধা, এবং সর্বশেষ ২৬ সেপ্টেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রাবার বোর্ড কর্তৃক লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজের ভূমি বেদখলের পক্ষে নির্দেশ প্রদান করা ইত্যাদি অন্যতম।

বর্তমানে আদিবাসী জুম্মরা শংকিত ও উদ্বিগ্নাবস্থায় জীবন যাপন করছে। অতিশীঘ্রই ইজারা বাতিল না হলে এবং দখলদারদের উচ্ছেদ করা না হলে এতদাঞ্চলের পরিস্থিতি চরম সংকটের দিকে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

More From Author