জে. এইচ. লরেন বম
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঐতিহাসিক গৌরবময় সংগ্রামের তেত্রিশ বছর। শিক্ষা, সংহতি, সাম্য, প্রগতি- এই চারটি মূলনীতি ও প্রগতিশীল আদর্শের চেতনায় জুম্ম ছাত্র সমাজকে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করে চলেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাষ্ট্রীয় নির্যাতন, নিপীড়নসহ সকল মানবতাবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামের পদযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত জুম্ম জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণই পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের আদর্শ। রাঙ্গামাটিতে ১৯৮৯ সালের ৪ মে জুম্মদের উপর সংঘটিত বর্বরোচিত লংগদু গণহত্যার প্রতিবাদ করতে যেয়ে ২০ মে জন্ম লাভ করে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। ৩৩ বছরেও সেই লোমহর্ষক নারকীয় গণহত্যার সাথে জড়িত চিহ্নিত হত্যাকারীদের বিচার হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ দুই দশকের সশস্ত্র সংগ্রামেও সচেতন ছাত্র-যুব সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। এছাড়া দেশের সকল প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সাথেও পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র-যুব সমাজ সম্পৃক্ত ছিল। শাসকগোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্র, আগ্রাসী আধিপত্যের বিরুদ্ধে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের পতাকা তলে সংগঠিত হয়ে ছাত্র-যুব সমাজ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। আমরা এটাও দেখেছি- পার্বত্য চট্টগ্রামের বুকে অত্যাচার নিপীড়নের মাত্রা যত বেড়েছে, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা আরো দৃঢ়ভাবে রুঁখে দাঁড়িয়েছে।
জুম্ম জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ শাসনতান্ত্রিক অধিকার অর্জিত হয় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে। জুম্ম জনগণের বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা, শত শত শহীদদের আত্মত্যাগ, বহু মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা সরকারকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য করেছিলাম। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি জুম্ম জাতির অধিকারের ঐতিহাসিক সনদ। সরকার দীর্ঘ ২৪ বছরেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নে ব্যর্থতা ও চরম প্রতারণার পরিচয় দিয়েছে।
আমরা হতবাক হয়ে দেখছি- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বললেও আশি দশকের স্বৈরাচারী সামরিক জান্তা সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জুম্ম জনগণের উপর আবারও বেপরোয়াভাবে দমন-নিপীড়নের পথ বেছে নিচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন চলছে। দশকের পর দশক ধরে জেনারেলদের শাসনে অস্ত্র ও বুটের তলায় পিষ্ট হয়ে চলেছে জুম্ম জাতির মৌলিক অধিকার-মানবাধিকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্বে সেনা শাসন ‘অপারেশন দাবানল’ থেকে বর্তমানে ‘অপারেশন উত্তরণ’ নামকরণ করা হয়েছে। জুম্ম জাতির মধ্যকার ঐক্য-সংহতিকে বিনষ্ট করার জন্য নতুন করে জাতিগত নানা ভুইফোঁড় সংগঠন সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই সকল ভুইফোঁড় সংগঠনগুলোর প্রধান কাজই হলো- পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিরোধীতা করা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো।
জামায়াতপন্থী কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক সেনা কর্মকর্তা ও জনসংহতি সমিতি বিদ্বেষী স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতায় নব্য সৃষ্ট মগ পার্টি নামে খ্যাত মারমা লিবারেশন পার্টি এবং বম পার্টি নামে খ্যাত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট তাদের মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নব্য সেনা সৃষ্ট বম পার্টির অপপ্রচারগুলো লক্ষ্য করলে বুঝা যায় তারা যতটা না অধিকার নিয়ে সোচ্চার, তার চেয়ে বেশি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও সংখ্যাগুরু জুম্ম জাতিসত্তা বিরোধী প্রচারনা, সর্বোপরি জেএসএস নেতা-নেতৃত্বের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কুৎসা রটানোয় ব্যতিব্যস্ত! তাতেই বম পার্টির রাজনৈতিক হীন চরিত্র উন্মোচিত হয়েছে। এ কাজগুলো এতদিন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী সেটেলারদের সাম্প্রদায়িক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা করতো এখন সে কাজটি নব্য সেনা সৃষ্ট বম পাটি বর্গা নিয়েছে! জুম্মদেরকে জাতিগতভাবে নির্মূলীকরণে যারা মূল ভূমিকা পালন করছে, সেই সেনাবাহিনীই হচ্ছে তাদের মালিক, তাদের এজেন্ডা ও তাদের আস্থা- মর্মে তারা নিজেরাই প্রচারনা করছে, যার মধ্য দিয়ে জুম্ম জনগণ তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা সহজেই বুঝে নিয়েছে। তাদের প্রতারণা ও ভ-ামীর মুখোশ জনগণের কাছে তুলে ধরা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতীয় সামগ্রিক স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে সংকীর্ণ ব্যক্তি স্বার্থে যারা স্ব স্ব জাতির আত্মমর্যাদাকে পদানত করে তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করুন। তাদের নির্লজ্জ রাজনৈতিক ভাঁওতাবাজি ও ডিগবাজির বিরুদ্ধে ছাত্র ও যুব সমাজকে সচেতন করতে হবে।
এই তো ১২ বছরে আগের কথা, সবই চোখে দেখা! ২০১১ সালের দিকে ম্রো ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি) বা ম্রো বাহিনী নামক একটি ভুঁইফোড় সংগঠন সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছিল। পরে আলিকদমের কুরুকপাতা এলাকায় ৫ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ২ টায় ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বেশ ঘটা করে ম্রো বাহিনীর আত্মসমর্পনের নাটকও মঞ্চস্থ হয়েছিল। লামায় অর্থের লোভ দেখিয়ে ত্রিপুরাদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করাসহ ‘টাইগার লিবারেশন বাংলাদেশ ত্রিপুরা’ নামক সংগঠন সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু বেশি দিন টিকতে পারেনি। জাত প্রেমী দাবিদার কথিত ম্রো বাহিনীর নেতারা কোন দিন ম্রো জনগণের ভূমি দখল, নির্যাতন, নিপীড়ন, উচ্ছেদের বিরুদ্ধে কথা বলেনি! তারই ধারাবাহিকতায় মগ পার্টি এবং সম্প্রতি বম পার্টি নামক ভুঁইফোড় সংগঠন সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে।
শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিকীকরণ ও সামরিক শক্তি বিস্তারে বরাবরই নানা অজুহাত দাঁড় করায়। পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়নমুখী সামরিক শক্তির মহড়া জোরদার করার জন্যই এ সকল ভুঁইফোড় সংগঠন সৃষ্টি করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক, সন্ত্রাসী সশস্ত্র তৎপরতা, হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি হচ্ছে। তাই এখানে সেনা ক্যাম্প স্থাপন ও সম্প্রসারণ করা দরকার ইত্যাদি অজুহাত সৃষ্টি করার জন্যই মূলত বিভিন্ন ভুঁইফোড় সংগঠন সৃষ্টি করে দেয়া হচ্ছে। এতে করে ভুঁইফোড় সংগঠনের সন্ত্রাসীদের দিয়ে চাঁদাবাজি করিয়ে কিছু সেনা কর্মকর্তা নিজেদের পকেট ভারী করছে। অপরদিকে সন্ত্রাসী আটক ও অস্ত্র উদ্ধারের নাটক করে প্রমোশনের সুযোগ তো থাকছেই। অন্যদিকে ওই ভুঁইফোড় সংগঠনের সন্ত্রাসী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা-কর্মী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সমর্থকদের অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, হত্যা, গুমের গোপন মিশন পরিচালনা করছে। এসব ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোকে দিয়ে জুম্ম জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলনকে দুর্বল বা নসাৎ করার গভীর চক্রান্তের একটি ধারাবাহিক রূপ।
জুম্ম জাতির সামনে আজ একটা বিষয় দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক শাসনের যাঁতাকল থেকে মুক্তি ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কার্যকর করে অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করার একমাত্র পথ হলো- পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র সুসংহত করা ও আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির প্রত্যাশা নিরর্থক। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার জুম্ম জনগণের সাথে গায়ের জোরে বা শক্তি প্রয়োগ করে যে অমানবিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণ শুরু করেছে সেটা দ্রুত বন্ধ করা দরকার। এধরনের আচরণ উগ্র সাম্প্রদায়িক, অগণতান্ত্রিক, জাতি-বিদ্বেষী, একদেশদর্শী, জাতি আগ্রাসী। জুম্ম জনগণের ন্যায় সঙ্গত অধিকারকে অসম্মান ও অবদমিত করে রাখার উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদীর দাম্ভিক আচরণ, ছলচাতুরী ও প্রতারণা বন্ধ হোক।
আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার সমস্ত পথ যদি রুদ্ধ হয়, তখন আন্দোলন-সংগ্রাম অনিবার্য। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এটাই ধ্রুব সত্য। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। আমাদের পিতৃভূমি, জুম পাহাড় আজ বহিরাগত ভূমিদস্যু ও বনখেকোদের নগ্ন থাবায় ক্ষত-বিক্ষত। আমরা কেউ ভালো নেই। বসতভিটে, বাগান-বাগিচা, জুম ভূমি হারিয়ে আমরা আজ নি:স্ব। অনিশ্চিত, দু:খ-কষ্টে এক দুর্বিষহ, বিভীষিকাময় জীবন নিয়ে আমরা ধুকে ধুকে বেঁচে আছি। সামরিক শাসনের যাঁতাকলে অস্ত্র ও বুটের তলায় পিষ্ট আমাদের জীবন ও জীবিকা। জুম্ম জনগণ উন্নয়ন বিরোধী নয়। এটা রাষ্ট্রের একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচার। আমরা জনকল্যাণমূলক উন্নয়নের পক্ষে। তথাকথিত উন্নয়নের নামে জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে বিশেষ হীন উদ্দেশ্যে জোরজবর দস্তিমূলকভাবে চাপিয়ে দেয়া সকল উন্নয়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। আমরা দেখেছি- বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে সামরিক বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন, বনায়নের নামে উচ্ছেদ, পর্যটনের নামে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ, সেটেলারদের দিয়ে হামলা করে ও অগ্নিসংযোগ করে জায়গা-জমি দখল ও জুম্মদের উচ্ছেদের বহু ঘটনা। জুম্ম জনগণ এ ধরনের জাতি-বিধ্বংসী, সংস্কৃতি-বিদ্বেষী ও পরিবেশ বিরোধী উন্নয়ন চায় না।
নিজেদের উন্নয়ন নিজেরাই নির্ধারণ করার অধিকার প্রত্যেক গণতান্ত্রিক দেশে স্বীকৃত এবং প্রত্যেক জাতির রয়েছে। সেই লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের বিধান করা হয়েছে এবং এসব পরিষদে সাধারণ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা, পুলিশ, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, বন ও পরিবেশ, পর্যটন ইত্যাদিসহ রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা ও কার্যাবলী ন্যস্ত করার বিধান করা হয়েছে। আমরা পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা ও কার্যাবলী ন্যস্ত করত: যথাযথ ও শক্তিশালী বিশেষ শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেদের উন্নয়ন নিজেরাই নির্ধারণ করে গণমুখী, পরিবেশ-বান্ধব ও সংস্কৃতি-সাজুস্যপূর্ণ টেকসই উন্নয়ন পেতে চাই।
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান ও জটিল সমস্যা ভূমি। ভূমি সমস্যাকে সরকার এখনও জিঁইয়ে রেখেছে। সৃষ্টি করা হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বহিরাগত সেটেলার বাঙালি অনুপ্রবেশ চলছে। গোপনে সেটেলার বাঙালিদের পুনর্বাসিত করা হচ্ছে। আজ জুম্ম জাতির অস্তিত্বের শেকড়ে টান পড়েছে। এটাই রূঢ় বাস্তবতা। বর্তমানে সেই নির্মম বাস্তবতাই প্রতিফলিত হচ্ছে। সরকার জুম্ম জাতির জুম পাহাড়ের স্বতন্ত্র ঐতিহ্যকে চিরতরে ধ্বংস করতে চায়। তাই জুম্ম জাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে পিচঢালা রাজপথ ও সবুজ জুম পাহাড়ে ছেড়ে আমাদের আর পিছনে হটার কোন সুযোগ নেই।
জুম্ম জাতীয়তাবাদ চেতনাবোধে উদ্বুদ্ধ হোক তরুণ সমাজ। প্রসারিত হোক প্রগতির দৃষ্টিভঙ্গি। আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অপ্রতিরোধ্য দুর্বার গতিতে এক নবতর অধ্যায়ের সূচনা হোক। জ্বলুক চেতনার বহ্নিশিখা। সে চেতনার স্ফুলিঙ্গে ভস্মীভূত হোক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র।