হিল ভয়েস, ১ মে ২০২২, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের গবঘোনা সেনা ক্যাম্পের একদল সেনা সদস্য কর্তৃক কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই ইউনিয়ন এলাকার এক নিরীহ জুম্মকে মারধর করে অস্ত্র গুঁজে দিয়ে গ্রেপ্তার এবং অপর তিনজনকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অস্ত্র গুঁজে দিয়ে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম বিমল চাকমা (১৭), পীং-মহেশ সুর চাকমা, গ্রাম-গুরোছড়ি, কাপ্তাই ইউনিয়ন। অপরদিকে, মারধরের শিকার গ্রামবাসীরা হলেন- (১) চাইথোয়াই মারমা (৬৫), পীং-অজ্ঞাত, গ্রাম-হরিণছড়া বাজার এলাকা, কাপ্তাই ইউনিয়ন, (২) উষাথোয়াই মারমা (২৫), পীং-চাক্রা অং মারমা, গ্রাম-হরিণছড়া বাজার এলাকা, কাপ্তাই ইউনিয়ন, (৩) উবাচিং মারমা (২৪), পীং-সুইপ্রু মারমা, গ্রাম- হরিণছড়া বাজার এলাকা, কাপ্তাই ইউনিয়ন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ১ মে ২০২২ ভোর সকালে গবঘোনা সেনা ক্যাম্পের কম্যান্ডার ক্যাপ্টেন মোঃ মাহমুদুল এর নেতৃত্বে তিনটি স্পীডবোট যোগে ২৫ জনের একটি সেনাদল কাপ্তাই উপজেলার হরিন ছড়া বাজার এলাকায় টহল আভিযানে যায়। এসময় সেনা সদস্যরা উক্ত চার ব্যক্তিকে গবঘোনা সেনা ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে সেনা সদস্যরা প্রায় অর্ধদিবস উক্ত চার ব্যক্তিকে আটক করে রাখে এবং বেদম মারধর করে।
এরপর দুপুর আনুমানিক ২:০০ টার দিকে গবঘোনা সেনা ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা চাইথোয়াই মারমা, উষাথোয়াই মারমা ও উবাচিং মারমাকে ছেড়ে দেয়। অপরদিকে, এর পরপরই সেনা সদস্যরা বিমল চাকমাকে অস্ত্র গুঁজে দিয়ে রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্তৃক বিভিন্ন গণমাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃত ওই ব্যক্তি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে। তবে, জনসংহতি সমিতির স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বিমল চাকমা একজন নিরীহ গ্রামবাসী এবং জনসংহতি সমিতির সদস্য নয়।
অপরদিকে, সেনাবাহিনী কর্তৃক বিমল চাকমার বাড়ি থেকে একটি করে এসএমজি, ম্যাগজিন, দেশীয় তৈরি রাইফেল, রামদা ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করার দাবিটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন জনসংহতি সমিতির উক্ত সূত্রসমূহ।