হিল ভয়েস, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, বিশেষ প্রতিবেদক: “জুম্ম জনণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে নারী সমাজ অধিকতর সামিল হউন” স্লোগানে হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির বার্ষিক শাখা সম্মেলন ও কাউন্সিল আজ শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হিল উইমেন্স ফেডারেশন, রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সভাপতি ম্রানু মারমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিনাকী চাকমার সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সৌখিন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা (নান্টু), পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি সদর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুবিনা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির রাঙ্গামাটি সদর থানা শাখার হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক রাজন তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কলেজ শাখার সভাপতি সোনারিতা চাকমা।
কাউন্সিল ও সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নারী সমাজ পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রেখেছে। নারী সমাজ মুক্তি না পেলে একটি জাতির কখনো মুক্তি অর্জন করতে পারে না। জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া জুম্ম নারীর মুক্তি নেই। জুম্ম নারীকে কেবল ঘরের মধ্যে, পাঠ্যপুস্তকে অধ্যয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবেনা। নারী সমাজকে তার বিকাশের জন্য ইতিহাসের পাতায় চোখ বুলাতে হবে। সংগ্রামের পাতা অধ্যয়ন করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, পৃথিবীতে কোন অধিকার এমনি এমনি আসেনি, লড়াই করে সবকিছু অর্জন করতে হয়। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাই প্রমাণিত হয়েছে । যদিও আজ অবধি নারীরা যথাযথ অধিকার পায়নি। নারী তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। হতাশ হলে চলবে না, অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য নারী-ছাত্র-যুব সবাইকে একসাথে সংগ্রাম পরিচালনা করতে হবে। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হলে তবেই জুম্ম নারী মুক্তি পাবে, অধিকার নিশ্চিত কবে। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হলে তবেই জুম্ম নারী মুক্তি পাবে, অধিকার নিশ্চিত কবে।