হিল ভয়েস, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: খাগড়াছড়িতে বিশুদ্ধা মহাথেরোকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা এবং চট্টগ্রামে জ্ঞানজ্যোতি ভিক্ষুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার নিন্দা জানিয়ে এবং হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ভিত্তিক ত্রিপুরা চাকমা স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (টিসিএসএ)-এর পক্ষ থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেট (এসডিএম)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এক স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
গতকাল শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপুরা চাকমা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ৮টি শাখা সংগঠনের মধ্যে তিনটি শাখার উদ্যোগে একই সাথে কাঞ্চনপুর এসডিএম, লংথারাই এসডিএম এবং কৈলাশহর এসডিএম-এর হাতে এই স্মারকলিপি তুলে দেয়া হয় এবং অন্য পাঁচটি শাখা সংগঠনও ২/১ দিনের ভিতরে স্মারকলিপি জমা দেবেন বলে জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে বাংলাদেশের আদিবাসীসহ মুসলিম ধর্মাবলম্বী বাদে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জীবন রক্ষার ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানানো হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিসিএসএ-এর সদস্যবৃন্দসহ কার্যনির্বাহী সম্পাদক যদন কুমার চকমা, রুপক চাকমাও সুবল চাকমা, ইয়ং চাকমা এসোসিয়েশন (ওয়াইসিএ)-এর পক্ষ থেকে প্রদীপ চাকমা এবং চাকমা ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইণ্ডিয়া (সিএনসিআই)-এর পক্ষ থেকে শুভরঞ্জন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি সদরে ধর্মসুখ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ ভদন্ত বিশুদ্ধা মহাথেরোকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা ও চট্টগ্রামস্থ জুম্ম চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত জ্ঞানজ্যোতি ভিক্ষুকে রাত পৌনে ১টায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনা সংঘটিত হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে মুসলিম দ্বারা আদিবাসীসহ হিন্দুদের উপর অত্যাচার, ধর্ষণ, হত্যা এবং মন্দির ভাংচুর নিত্যদিনের কাজে পরিণত হয়েছে। এই সমষ্ট কাজে যারা যারা লিপ্ত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির দাবি জানানো হয়। সেই সাথে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি এবং পুলিশ বাহিনী আসামিদের আইনের আওতায় এনে কাউকে শাস্তি দিতে পারেনি বলেও উল্লেখ করা হয়।