হিল ভয়েস, ২৪ নভেম্বর ২০২২, রাঙ্গামাটি: আজ (২৪ নভেম্বর ২০২২) রাঙ্গামাটি সদরে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) রাঙ্গামাটি শহর শাখার বার্ষিক শাখা সম্মেলন ও ২৪তম কাউন্সিল-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিলে মিলন চাকমাকে সভাপতি, সুরেশ চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিয় চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
“আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে ছাত্র-যুব সমাজ অধিকতর আন্দোলনে সামিল হউন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত সম্মেলন ও কাউন্সিলের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পিসিপি’র রাঙ্গামাটি শহর শাখার বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন চাকমা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির রাঙ্গামাটি শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা নান্টু এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা, পিসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুমন মারমা, পিসিপি’র রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন কুসুম তঞ্চঙ্গ্যা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদিকা সোনারিতা চাকমা। সুরেশ চাকমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিদায়ী কমিটির সদস্য রনি চাকমা।
আলোচনা সভায় সাগর ত্রিপুরা নান্টু বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ মানে এক ঝাঁক তরুণের সমন্বয়ে মিলিত জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ের পথ। পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্মদের অস্তিত্ব বর্তমানে নাজুক। এই নাজুক অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বর্তমান ছাত্র ও যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যেহেতু পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা রাজনৈতিক সমস্যা সেহেতু রাজনৈতিক সংগঠন দিয়ে সুরাহা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের প্রত্যেক কর্মীকে এক একটি বীজে রূপ নিতে হবে। জাতির এই সংকটময় সময়ে ছাত্র ও যুব সমাজকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সুমিত্র চাকমা বলেন, বর্তমান সময়ে কর্মীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আন্দোলনে জোয়ার-ভাটা আসবেই। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সেই সোনালী দিনের রূপকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি ক্ষোভ নিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে না যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
সুমন মারমা নব কমিটির উদ্দেশ্যে বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী নিজের চিন্তাকে রাজনৈতিক দর্শনের সাথে একাকার করে না নেওয়ায় এবং ভুল মতাদর্শগত চর্চার কারণে সংগঠনে টিকে থাকতে পারে না এবং ফলশ্রুতিতে সে কর্মী ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের প্রত্যেক কর্মীকে একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি রাজনীতি ও দর্শনের পড়াশুনা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের প্রত্যেক কর্মীর এই সংকটময় সময়ে নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য থাকা প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি।