হিল ভয়েস, ২৯ জুন ২০২৫, বিশেষ প্রতিবেদক: গত ২৬ জুন ২০২৫ রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে (২৫) ঘরের দরজা ভেঙে এক মুসলিম বাঙালি কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ধর্ষক পাঁচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে ফজর আলী (৩৮) বলে জানা যায়। এলাকাবাসী মতে, ফজর আলী স্থানীয় বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত।

এই ঘটনায় ২৭ জুন ২০২৫ শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় ভুক্তভোগী মামলা করে।

ভুক্তভোগীর স্বামী গত পাঁচ বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। সূত্র মোতাবেক, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ঘটে। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে।

ভুক্তভোগী নারী জানান, গত ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে তার বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী তার বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি ঘরের দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে একপর্যায়ে ফজর আলী ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন।

পরে ভুক্তভোগীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে । পরে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক সোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হলে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

উক্ত ঘটনার মামলা দায়ের করা হলেও ধর্ষককে এখনো পুলিশ ধরতে পারেনি বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য পাহাড় এবং সমতলে আদিবাসী ও সংখ্যালঘু নারীদের উপর দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী কর্তৃক প্রতিনিয়ত ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। যার একটি বিচারও আজ পর্যন্ত সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়নি। যেখানে রাষ্ট্রকর্তৃক এই সব ঘটনার বৈধতা দেওয়া হয় সেখানে মূল আসামীরা আইনের ফাকঁফোকর মধ্য দিয়ে কাজেই অনায়াসে বেরিয়ে যাবে।