হালুয়াঘাটে গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, একজন আটক

হিল ভয়েস, ১ অক্টোবর ২০২৫, বিশেষ প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় গারো এক কিশোরী পূজা দেখতে বেরিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আদিবাসী গারো মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় বন্ধু।

এ সময় অটোরিকশাচালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যায়। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মিলন নামের এক যুবককে আটক করে। মিলন উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগীর মা জানান, আমার মেয়ের পূর্বপরিচিত যুবক মিলন সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আমার মেয়েকে সকালে পূজা দেখানোর কথা বলে মোবাইল ফোনে ইউরোপিয়ান পার্কের (সালমার পার্ক) সামনে আসতে বললে সে ওখানে যায়। পরে পার্ক এবং আশপাশ এলাকায় ঘোরাফেরা করে।

তিনি আরও জানান, সন্ধ্যায় নয়াপড়া গ্রামের আজাহারুলের এর পুত্র আবুল বাশার (২২) তাকে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা দিয়ে জুগলী নয়াপাড়া কায়জংখালী ব্রিজের পশ্চিম পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রাত আনুমানিক ১০টায় উপজেলার ধারা ইউনিয়নের রুস্তমপুর আকাশমনি গাছের নিচে পুনরায় ধর্ষণ করে তার অটোরিক্সাযোগে গামারীতলা মোড়ে ফেলে রেখে চলে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের বাড়িতে যায়। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ তার অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, এ ব্যাপারে হালুয়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। মূল আসামিকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

More From Author

+ There are no comments

Add yours