সংসদীয় ককাসের আলোচনায় বাজেটে আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ ও প্রণোদনা বৃদ্ধি করার দাবি এবং জাতীয় আদিবাসী কমিশন গঠনের প্রস্তাব

0
939
ভার্চ্যুয়াল আলোচনার ছবি

হিল ভয়েস, ৮ মে ২০২১, বিশেষ প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় বাজেটে আদিবাসীদের জন্য বাজেট বরাদ্দ ও প্রণোদনা বৃদ্ধি জরুরী বলে দাবি করেছেন বিশিষ্ট জনরা। এছাড়া আগামী বাজেটকে সামনে রেখে ‘জাতীয় আদিবাসী কমিশন’ গঠনেরও প্রস্তাব করেন সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ হাসানুল হক ইনু। আজ (৮ মে ২০২১) ‘জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ ও আদিবাসী’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় এসব কথা বলেন তাঁরা।

আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আয়োজনে উক্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় ককাসের আহ্বয়ক ও সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। উক্ত ককাসের টেকনোক্র্যাট মেম্বার জান্নাত-এ-ফেরদৌসী’র সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনায় সংযুক্ত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন, অপর এক সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ককাসের সমন্বয়ক ও ঢাবি’র শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, অভ্যন্তরীণ জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা বকুলসহ বিভিন্ন আদিবাসী নেতৃবৃন্দ ও উন্নয়নকর্মীরা।

উক্ত আলোচনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাসের টেকনোক্র্যাট সদস্য ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। তিনি তাঁর মূল বক্তব্যে বলেন, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর ফলে সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইনফরমাল কাজের সঙ্গে এরা বেশি যুক্ত, যেমন, ড্রাইভার, গৃহকর্মী, বিউটি পার্লারের কর্মী, সিকিউরিটি গার্ড, সেলস্কর্মী, গার্মেন্টসে অদক্ষ কর্মী ইত্যাদি। এই ধরনের কাজে যেহেতু কোনো নিয়োগপত্র বা নীতিমালা নেই বা অকার্যকর, তাই এদের বড় অংশ এই মহামারিতে চাকুরি হারিয়েছে। অথবা অনেকের চাকুরি আছে কিন্তু বেতন নেই বা বেতন কমে গেছে। অনেকে করোনার শুরুতে এক বছর আগে গ্রামে চলে গেছে, এখনো ফেরেনি। এই ধরনের অনেক গল্প আমরা জানি। নতুন বাজেটে এই প্রান্তিক মানুষদের পরিবারের কথা ভেবে বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা রাখা প্রয়োজন।

২০১০ থেকে ২০১৩ সালের জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনগণের জন্য ছোট্ট, পৃথক অনুচ্ছেদ বা প্যারাগ্রাফ থাকলেও গত কয়েকটি বাজেট বক্তৃতায় আদিবাসীদের স্থান হয়নি উল্লেখ করে তিনি আগামী বাজেটে সমতলের আদিবাসীদের জন্য এগার (১১) দফা দাবিনামা উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- আদিবাসীদের জন্য আগামী বাজেটে বিশেষ অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেয়া, জাতীয় বাজেটে অতীতের মতো পৃথক অনুচ্ছেদ যুক্ত করে আদিবাসী জনগণের উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা, সমতলের আদিবাসীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের থোক বরাদ্দ পরিচালনার জন্য সমতলের আদিবাসীদের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি বা বোর্ড গঠন করা এবং এতে দুর্নীতি রোধসহ এই তহবিলের অপচয় রোধ করা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়, আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদসমূহের বাজেট বৃদ্ধি করা, সকল মন্ত্রণালয়ের/বিভাগের বাজেটে আদিবাসীদের উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা এবং বরাদ্দের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আদিবাসীদের কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায়, সে বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা, আদিবাসীবা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক একাডেমীগুলোতে গবেষণাসহ আদিবাসী সংস্কৃতি উন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ও সামাজিক ক্ষমতায়নের বাজেট খাতে আদিবাসী উপকারভোগী যাতে নিশ্চিত হয়, তার জন্য এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান, উচ্চ শিক্ষা ও কারিগরী শিক্ষায় বৃত্তিসহ আদিবাসী নারী ও তরুণদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা, এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় আদিবাসী জনগণ ও সংগঠনসমূহকে সম্পৃত্ত করা এবং এজন্য একটি ম্যাকানিজম তৈরি করা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় আদিবাসীবা নৃ-গোষ্ঠী জনগণের জন্য অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আদিবাসীদের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন, যাতে সুষ্ঠুভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় এবং আদিবাসীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে পারে। এই খাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখা ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, খ্রীস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের বাজেট বৃদ্ধিসহ সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি করেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যে পরিমাণ আদিবাসী পার্বত্য চট্টগ্রামে আছে, সে পরিমাণ আদিবাসী বা বেশি সমতলেও আছে। কিন্তু তারা বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের সমস্যা ও বিভিন্ন বিষয়গুলো দেখার জন্য একটি মন্ত্রণালয় আছে। কিন্তু সমতলের আদিবাসীদের জন্য সেটা নেই। সরকার চাইলে উপজেলা ভিত্তিক সেনসাসের মাধ্যমে আদিবাসীদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। যেটা থাকলে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহযোগী হবে বলেও মনে করেন তিনি।

সরকার সর্বশ্রেণির নাগরিকদের গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে দাবি করে তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের নাম কিঞ্চিৎ সংশোধন করে সে মন্ত্রণালয়ের অধীনে একজন সচিব নিয়োগ দিয়ে সমতলের আদিবাসীদের বিষয়গুলো দেখাশোনা করার ব্যাপারে ভাবা যেতে পারে। তাছাড়া পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের বাজেট সংক্রান্ত দাবিনামাগুলো লিখিত আকারে অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর পেশ করার জন্যও আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসকে আহ্বান জানান এই মন্ত্রী।

সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি সুনির্দিষ্ট। কিন্তু সমতলের আদিবাসীদের জন্য সেটা হয়ে উঠেনি। তাছাড়া সমতলের আদিবাসীদের ভূমি কমিশনের বিষয়টিও অমিমাংসিত। সমতলের আদিবাসীদের জন্য যে বিশেষ অ্যাফেয়ার্স বিভাগ রয়েছে তাদের ত্রুটির জন্য বাজেট বরাদ্দ আদিবাসীদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। সামরিক ও বেসামরিক আমলা’রা আদিবাসী বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেননি, যার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সহ সমতলের বিভিন্ন ইস্যুগুলো সমাধান হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি। সমতলের আদিবাসীদের নাগরিক সনদ প্রদান ও বিভিন্ন ইস্যুতে সমতলের কিছু জেলা প্রশাসকের ভূমিকারও নিন্দা করেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ হাসানুল হক ইনু বলেন, আদিবাসীদের ব্যাপারে এযাবৎ সমন্বিত কোনো কার্যক্রম এখনো নেই। যার কারণে বাজেটসহ সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সেরকম পরিকল্পিত কোনো কার্যক্রম নেই। এই সমন্বিত পরিকল্পনার জন্য সরকারকে রাজী করাতে হবে।

বাজেটে আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ অপ্রতুল দাবি করে তিনি আরো বলেন, আদিবাসীদের বাজেট সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো লিখিত আকারে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়কে প্রদান করতে হবে। সমতল ও পাহাড়ের আদিবাসীদের নিয়ে আদিবাসী কমিশন গঠন জরুরী বলেও মনে করেন তিনি। সেই কমিশন থেকে আদিবাসীদের নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে সকল মন্ত্রণালয় সেভাবে পলিসি গ্রহণ করার কথাও বলেন সাবেক এই মন্ত্রী। এছাড়া করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখারও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে আইন এবং পার্বত্য চুক্তি বহির্ভূতভাবে পাহাড়ে লীজ দেয়া ভূমিগুলোর লীজ অবিলম্বে বাতিলেরও আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের জন্য বাজেট সুনির্দিষ্ট নয়। এছাড়া এই বাজেট ও প্রকল্পগুলোর নিরীক্ষণ ও অডিট কীভাবে হয় সেটাও প্রশ্ন তুলেন তিনি। কেবলমাত্র কয়েকটি গ্রুপ কি এসবের সুবিধা পাচ্ছে কি না তাও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অভ্যন্তরীণ শরণার্থী পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা সম্পন্ন। কিন্তু তাঁর বাজেট বছরে মাত্র ১৫ লক্ষ টাকা। এটা কীভাবে বৈষম্যমূলক না এবং কার সাথে পরামর্শ করে এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সরকার ও চুক্তি-উত্তর সময়েও সরকারগুলো পাহাড়ে অবৈধভাবে পাহাড়ের বাইরের বিভিন্ন কোম্পানি, গ্রুপ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে জমি লীজ দিয়েছে দাবি করে তিনি আরো বলেন, কেবল বান্দরবানে চারটি উপজেলায় ১৬৯৩টি লীজ দেয়া হয়েছে যার জমির পরিমাণ ৪২ হাজার একর এর উপর। যারা লীজ নিয়েছে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের ‘অবাসিন্দা’ বলেও দাবি করেন তিনি। শীঘ্রই উক্ত সমীক্ষা চাকমা সার্কেল প্রকাশ করবে বলে উল্লেখ করেন চাকমা সার্কেল চীফ।

সংসদীয় ককাসের সদস্য ও সাংসদ অ্যারোমা দত্ত বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং সমতলে আদিবাসীদের বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে বলা হয়। কিন্তু কার্যত যখন দেখা হয় কী সুক্ষ্মভাবে প্রশাসনিক ও ‘প্রোগ্রামেটিকলি’ এ ব্যাপারগুলোতে বৈষম্য করা হচ্ছে। সরকারও আদিবাসীদের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। কিন্তু প্রশাসনিকভাবে এবং বৈষম্যমুলকভাবে কীভাবে এই ব্যাপারগুলো আটকে যায় তা আমি বুঝি না। এক্ষেত্রে আমলাদের বৈষম্যমূলক মানসিকতাকে দুষলেন তিনি।

আদিবাসীদের জন্য সরকার কেবল প্রণোদনা বৃদ্ধি করলে হবে না দাবি করে তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন বরাদ্দগুলো কীভাবে প্রান্তিক অঞ্চলে যায় সেটা ভালোভাবে মনিটরিং করতে হবে। সকল উন্নয়নে কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে তার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া যেখানে ‘ইনফরমেশন’ ও লিস্ট নেই সেখানে কীভাবে আদিবাসীরা প্রণোদনা পাবে বলেও প্রশ্ন করেন তিনি। আদিবাসীদের অবস্থানরত ইউনিয়নগুলো ধরে ধরে ম্যাপিং করে ডেটাবেজ তৈরীর কথাও বলেন এই সাংসদ।

সংসদীয় ককাসের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, আমাদের মধ্যে যে বৈষম্য চলছে সেটা কত ব্যাপক হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অভ্যন্তরীণ শরণার্থী পুনর্বাসন টাস্কফোর্সের জন্য বছরে কেবলমাত্র ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এই টাকা দিয়ে কী পুনর্বাসন হবে বলেও প্রশ্ন করেন তিনি।

আদিবাসী শিশুদের শিক্ষায় শতভাগ ধরে রাখার জন্য মাল্টি-লিঙ্গুয়াল শিক্ষাপদ্ধতি চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, করোনার কারণে স্কুল-কলেজ কবে খুলবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট সময় বলা যাচ্ছে না। যার জন্য আমাদেরকে অনলাইন শিক্ষার দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে। কিন্তু আদিবাসী ও প্রান্তিক অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই অনলাইন শিক্ষায় এনরোল করাটা কষ্টের হবে। তাদের জন্য এন্ড্রয়েট সেট, সুলভ মূল্যের ডাটা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরবরাহ করারও দাবি করেন তিনি।

এছাড়া উক্ত আলোচনায় অংশ নেন অভ্যন্তরীণ জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা বকুল, খাগড়াছড়ি থেকে নারী নেত্রী নমিতা চাকমা, কোচ নেতা রমেশ চন্দ্র কোচ প্রমুখ।