রুমায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি কর্তৃক মর্টার শেল উদ্ধারের দাবি নাটক!

0
1440
ছবিতে আলোচিত মর্টার শেল

হিল ভয়েস, ২১ জুলাই ২০২১, বান্দরবান: গত পরশু সেনাবাহিনী ও বিজিবি কর্তৃক বান্দরবান পার্বত্য জেলাধীন রুমা উপাজেলার গালেংগ্যা এলাকা থেকে ২৯টি মর্টার শেল উদ্ধারের দাবিকে একটি সাজানো নাটক বলে দাবি করেছে স্থানীয় একটি সূত্র।

সূত্রটির মতে, সেনাবাহিনী এইসব মর্টার শেল উদ্ধার করেনি, বরং তারা মিয়ানমারের একটি সশস্ত্র দলের কাছ থেকেই এই মর্টার শেলগুলো সংগ্রহ করেছে।

উল্লেখ্য, গতকাল ২০ জুলাই ২০২১ দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায় যে, সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়ন সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের অধীন বলীপাড়া বিজিবি জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার মুহম্মদ শরীফ-উল-আলমের নেতৃত্বে সেনা ও বিজিবি সদস্যরা দুর্গম গালেংগ্যা এলাকা থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ২৯টি মর্টার শেল উদ্ধার করে বলে দাবি করা হয়।

সেনাবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গালেংগ্যা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে মাটির নিচে ২৯টি বিস্ফোরক মর্টারশেল পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। অভিযান পরিচালিত স্থানে আগে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গোপন আস্তানা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতার কারণে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী টিকতে পারেনি। তারা বোমাগুলো মাটির নিচে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। বোমাগুলো উদ্ধার করা সম্ভব না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। উদ্ধার হওয়ায় স্থানীয় লোকজন মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত ১৯ জুলাই ২০২১ এই মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানানো হয়।

কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেছে, সেনা ও বিজিবি সদস্যদের কর্তৃক মর্টার শেল উদ্ধারের সংবাদটি একটি সাজানো নাটক।

সূত্রটি জানিয়েছে, বস্তুত সেনাবাহিনী ঐদিন রুমার স্থানীয় বাসিন্দা ওয়েবার ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে মিয়ানমারের এক সশস্ত্র দলের কাছ থেকে থানচি এলাকা থেকে ৯৯টি মর্টার শেল গ্রহণ করে। মিয়ানমারের এক সশস্ত্র দলের কাছ থেকে পাওয়া ঐ মর্টার শেলগুলোই উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি ও প্রচার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সেনাবাহিনী গতকাল ২০ জুলাই ২০২১ থানচির বলিবাজারের কাছাকাছি কোনো এক স্থানে পাওয়া মর্টার শেলগুলো থেকে একটি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

সেনাবাহিনী ও বিজিবি কেন ও কোন উদ্দেশ্যে মিয়ানমারের কোনো সশস্ত্র দল থেকে এই মর্টার শেলগুলো সংগ্রহ করলো তা জানা যায়নি।