হিল ভয়েস, ১১ নভেম্বর ২০২৫, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন জায়গায় মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা,মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলন করা হয়।
জুরাছড়ি: জুরাছড়ি এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এম এন লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এক স্মরণ সভা আয়োজন করা হয়। সাবেক জুরাছড়ি থানা কমিটির সদস্য নীলা চন্দ্র চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুমিত চাকমা।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সালে এই দিনে বিভেদপন্থী গিরি-প্রকাশ-দেবেন-পলাশ চক্রের বিশ্বাসঘাতকতা ও ষড়যন্ত্রে জুম্ম জনগণের প্রাণের নেতা এম এন লারমাকে হত্যা করা হয়। শোকাবহ আজকের এই দিনে শোককে শক্তিতে পরিণত করে আগামীতে পার্টি ঘোষিত যেকোন কঠিন কঠোর আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে। আগামী দিনের কঠিন কঠোর আন্দোলনের জন্য বিশেষ করে ছাত্র ও যুব সমাজকে মানসিকভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। আয়োজিত সভাটিতে অন্তত ২৫০/৩০০ জনের জনসমাগম ঘটে।
এছাড়াও জুরাছড়ি উপজেলার করল্ল্যাছড়ি,মন্ডিরাছড়া,আদেয়াপ ছড়া দুমদুম্যা ছড়া যৌথ উদ্যোগে, বটতলা, ছোট করইদিয়া ও নাকশাতুলদ যৌথ উদ্যোগে, জুরপানি ছড়া ও ঘিলেলুদি পাড়ায় যৌথ উদ্যোগে এম এন লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। অন্যদিকে, দুলুছড়ি, বালুছড়া, শিলছড়া, কতুজইলী, নলবন্যা এলাকায় মহান নেতার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলন করা হয়।
কাউখালী: অবিসংবাদিত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জুম্ম জাতীয় শোক দিবসে ঘাগড়া কলেজ মাঠে আয়োজিত স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ এবং এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হ্লাচিমং মারমা, সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (কাউখালী থানা শাখা)। সঞ্চালনা করেন শান্তি মনি চাকমা,এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন দীপা চাকমা, সম্পাদিকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিমল কার্বারী।
বিলাইছড়ি: বিলাইছড়িতে ৩নং ফারুয়া ইউনিয়নে ‘ফারুয়া হেডম্যান কার্বারি এসোসিয়েশন’ এর উদ্যোগে এম এন লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জুম্ম জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। এসময় বক্তাগণ এম এন লারমাসহ ১০ই নভেম্বরের সকল শহীদ ও জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রামে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এছাড়াও, রাঙ্গামাটির সদর উপজেলার রাজদ্বীপ, রাঙাপানি, পিটিআই এলাকায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে এম এন লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জুম্ম জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়।