রাঙ্গামাটির কাউখালীতে সেনাবাহিনীর ডিজিএফআই কর্তৃক ৩ জুম্ম যুবককে মারধর  

0
653
ছবি: প্রতীকী

হিল ভয়েস, ২৪ মার্চ ২০২২, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালীর ঘাগড়া বাজার এলাকায় গত ২১ মার্চ ২০২২ রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে সেনাবাহিনীর ডিজিএফআই কর্তৃক তিন জুম্ম যুবক তল্লাশি ও মারধরের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলায় ঘাগড়া বাজার এলাকায় গত ২১ মার্চ ২০২২ রাত আনুমানিক  ৯ টার দিকে ডিজিএফআই কর্তৃক ঘাগড়া ইউনিয়নের তিন জুম্ম যুবককে তল্লাশি ও মারধর করা হয়েছে।

মারধরের শিকার জুম্ম যুবকরা হলেন,  জুয়েল চাকমা (১৮), পিতা- প্রতীক কুমার চাকমা, গ্রাম-হারাঙ্গী রিফিউজি পাড়া, পেশায় তিনি একজন ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক; নির্মল চাকমা (১৭), পিতা- পুনংচান চাকমা ও  রনেল চাকমা (১৭), পিতা-কারন বিকাশ চাকমা, দুই জনের গ্রাম- লেভাপাড়ায়।

জানা যায়, ঘটনার দিন ২১ মার্চ ২০২২, নির্মল চাকমা ও রনেল চাকমা মোবাইল ফোন ঠিক করতে রাঙামাটি শহরে যায়। মোবাইল ঠিক করার পর তারা জুয়েল চাকমার মোটর সাইকেলে যাত্রী হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এরপর ঘাগড়া বাজারে এসে একটি দোকানে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করছিলেন ঠিক সেসময় রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সদস্য মো. তারেক ও সেনা স্পাই মিল্টন তঞ্চঙ্গ্যার নেতৃত্বে ১০-১২ জন গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ধারী দুর্বৃত্ত তাদেরকে সেখান থেকে সোনালী ব্যাংক ভবনের নিচতলায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা উক্ত যুবকদেরকে নানা হুমকি ধামকি দিয়ে তল্লাশি ও মারধর করে।

কিন্তু মারধর ও তল্লাশি করার পর তাদের কাছ থেকে অবৈধ কোন কিছু না পেয়ে ঐদিন রাত সাড়ে ১০টার সময় ছবি ও শর্তনামা নিয়ে স্ব স্ব অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

উক্ত ঘটনায় জড়িত মো. তারেক ঘাগড়া এলাকায় ডিজিএফআইয়ের স্টাফ হিসেবে দায়িত্বরত বলে জানা গেছে। তিনি এলাকায় বেশ পরিচিত। তার বিরুদ্ধে এলাকার বিভিন্ন জনকে অহেতুক হয়রানিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগও রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় উক্ত এলাকার জুম্মদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।