রংপুরে হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে ধর্মান্তরিত ও বিয়ে করার অভিযোগ

0
854

হিল ভয়েস, ৮ জুন ২০২১, বিশেষ প্রতিবেদক: রংপুর জেলাধীন তারাগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মিপুর মাজেরহাট বালিকা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও জামায়াত নেতা আশরাফুজ্জামান মুকুলের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠেছে।

গত ৫ মে ২০২১ সংবাদ অনলাইন পত্রিকায় অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগের কথা উঠে এসেছে।
এ ঘটনায় আশরাফুজ্জামান মুকুলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করার পরেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নিচ্ছে না বলে জানা গেছে। উল্টো তিনিই সংশ্লিষ্ট হিন্দু পরিবারকে প্রকাশ্যেই প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এরপর সংশ্লিষ্ট পরিবারের পক্ষ থেকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রংপুর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান মুকুল মাদ্রাসার শিক্ষক ও তারাগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সদস্য এবং ইকরচালী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি।

অভিযোগ রয়েছে, ওই জামায়াত নেতা এর আগে এক হিন্দু মহিলাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোরপুর্বক ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। অতি সম্প্রতি তার ছেলে রাশেদ সয়ার ইউনিয়নের হিন্দু দোলাপাড়া গ্রামের রজ্ঞিত কুমারের মেয়েকে জোর করে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। এ ঘটনায় ওই মেয়ের ভাই গোপাল রায় বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর ওই জামায়াত নেতা আশরাফুজ্জামান মুকুল প্রকাশ্যে ফতোয়া প্রদান করে যে, হিন্দু মেয়ে জোর জবরদস্তি হোক বা ফুসলিয়ে হোক ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করলে বেহেস্তে যাওয়া যাবে। ওই জামায়াত নেতা প্রকাশ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নানান ভাবে হুমকি ধামকি প্রদানসহ তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা তুলে না নিলে সকল হিন্দু সম্প্রদায়েরে লোকজনকে ভিটে ছাড়া করবে বলে হুমকি প্রদান করছে।

এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু হরলাল রায় জানান, ওই জামাতী নেতা একের পর এক আমাদের হিন্দু পরিবারের উপর পরিকল্পিত ভাবে হয়রানি করে আসছে। তার এসব কর্মকান্ড দেখেও স্থানীয় প্রশাসন না দেখার ভান করে আসছেন।

তারাগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ডা: আলী হোসেন জানান, জামাত নেতা আশরাফুজ্জামান মুকুল একাধিক সংখ্যালগু পরিবারের মেয়েদের বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে মুসলমান পরিবারের ছেলেদের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করেন। পরে তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে তারই কথামত অজানার উদ্দেশে পারি দেয় তারা।

অপরদিকে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক ও জামায়াত নেতা আশরাফুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি জামাত করি না। তিনি আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য বলে নিজেকে দাবি করেন।

এ বিষয়ে রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র: sangbad.net.bd