হিল ভয়েস, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিশেষ প্রতিবেদক: গতকাল (৭ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলাধীন মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নে আদিবাসী মারমা অধ্যুষিত তবলাপাড়া গ্রামে ৬ সশস্ত্র বাঙালি অনুপ্রবেশ করে সন্দেহজনক ও ভীতিকর আচরণ করলে জনগণ কৌশলে সংগঠিত হয়ে ওই ব্যক্তিদের আটক করে।
পরে সেনাবাহিনী এসে আটককৃতদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষুব্ধ জনগণের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী জনগণকে সদুত্তর না দিয়ে উল্টো মেজাজ দেখিয়ে লাঠিচার্জ করে এবং কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে বলে জানা যায়।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঐ দিন হঠাৎ সেনা ও সাদা পোশাক পরিহিত অবস্থায় স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী ৬ বাঙালি তবলাপাড়া গ্রামে উপস্থিত হয়ে ঘোরাফেরা, কিছু বাড়িতে তল্লাসি শুরু করে। এসময় তারা গ্রামের লোকদের নানাভাবে ধমকও দিতে থাকে। এইসব সশস্ত্র বাঙালিদের উপস্থিতিতে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ, আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে জনগণ কৌশলে সংঘবদ্ধ হয়ে এই সশস্ত্র ব্যক্তিদের আটক করতে সক্ষম হয়। পরে সেনাবাহিনী খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে এসে অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এদিকে, আদিবাসী জুম্মদের গ্রামে এইসব সশস্ত্র বাঙালিদের উপস্থিতিতে জনগণের মধ্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। অনেকের প্রশ্ন, এসব সশস্ত্র বাঙালিরা ওই এলাকায় ডাকাতি বা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের উদ্দেশ্যে এসেছেন কিনা? এরা কি প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীরই নিয়োজিত কোনো সন্ত্রাসী কিনা? নাহলে সেনাবাহিনী তাদেরকে গ্রেপ্তার না করে উদ্ধার করে নিয়ে গেলো কেন? আবার কারো কারো আশঙ্কা, এরা রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা বা আরএসও’এর সদস্য কিনা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাগড়াছড়ির এক অধিকার কর্মীর মতে, এটা পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি জিইয়ে রাখার সেনাবাহিনীরই ষড়যন্ত্রের অংশ বৈ কিছু হতে পারে না।
+ There are no comments
Add yours