ভূষণছড়া গণহত্যা দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে পিসিপির স্মরণসভা

হিল ভয়েস, ১ জুন ২০২৫; রাঙ্গামাটি: ১৯৮৪ সালের ৩১ মে সামরিক বাহিনী ও সেটেলার বাঙালি কর্তৃক সংঘটিত ভয়াবহতম ভূষণছড়া গণহত্যার ৪১ বছর স্মরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)’র উদ্যোগে গতকাল ৩১ মে ২০২ রাঙ্গামাটি, বান্দরবান,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মহানগর,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বরকল ও কাউখালীতে স্মরণসভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্মরণসভার পূর্বে ভূষণছড়া গণহত্যা এবং এযাবৎকালে সংঘটিত হওয়া গণহত্যার সকল শহীদের স্মরণে অস্থায়ী শহীদ বেদির সামনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

স্মরণসভায় বক্তারা ভূষণছড়া গণহত্যাসহ এযাবৎকালে পার্বত্যাঞ্চলে যতগুলো গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে সেগুলোর বিচার ও অতি দ্রুত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।

উল্লেখ্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সামরিক বাহিনীর ছত্রছায়ায় হাজার হাজার জুম্মদের ভূমি বেদখল করে প্রায় ৫০০টির অধিক বাঙালি পরিবারকে বরকল উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম যেমন-গোরস্থান, ভূষণছড়া এবং ছোট হরিণা গ্রামে বসতি স্থাপন করানো হয়। স্থানীয় জুম্ম জনগণের তীব্র বিরোধীতা সত্ত্বেও বাঙালিদের পুনর্বাসন করায় এসব এলাকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে উঠে।

সেই সূত্র আলোকে আবারও জুম্মদের ভূমি দখলের জন্য এবং জুম্মদের অস্তিত্ব ধ্বংস করার নীলনকশা হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৬ বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩০৫তম ব্রিগেড এবং বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)’র ১৭তম ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সেটেলার বাঙালিদের সঙ্গে নিয়ে জুম্মদের এ্যাদভরিয়ে, সুগুরিপাদা, গোরস্থান, তারেঙে ঘাট, ভূষণছড়া ও ভূষণবাগ গ্রামগুলোতে একযোগে প্রতিহিংসামূলক এই হামলা চালায় এবং ভয়াবহতম ভূষণছড়া গণহত্যা সংঘটিত হয়।

More From Author