বান্দরবানে সেনা-মদদপুষ্ট সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক কার্বারীসহ দুই গ্রামবাসীকে জিম্মি ও মুক্তিপণ আদায়

0
535
ছবি: (বা থেকে) সন্ত্রাসী সুলেন চাকমা ও অনুপম চাকমা

হিল ভয়েস, ৯ জানুয়ারি ২০২২, বান্দরবান: সেনা ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ মদদপুষ্ট ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের পুনর্বাসন চাকমা পাড়ার কার্বারী এবং কার্বারীর একজন সঙ্গীকে বান্দরবান শহরের বালাঘাটাস্থ সন্ত্রাসীদের আস্তানায় ডেকে নিয়ে ৫ দিন ধরে আটক রেখে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার শিকার কার্বারীর নাম পাড়ার বিজয় হংস চাকমা। তবে তার সঙ্গীর নাম পাওয়া যায়নি। গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ সন্ত্রাসীরা তাদের দুইজনকে ফোনে তাদের আস্তানায় ডেকে নিয়ে জিম্মি করে রাখে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ টংকাবতী ইউনিয়নের পুনর্বাসন চাকমা পাড়ার কার্বারী বিজয় হংস চাকমা এবং কার্বারীর সঙ্গীকে ফোনের মাধ্যমে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সন্ত্রাসীরা বালাঘাটাস্থ তাদের অফিসে ডেকে নিয়ে পাচঁদিন ধরে আটক করে রাখে।

সন্ত্রাসীরা তাঁদের মুক্তি পণ হিসাবে তিন লক্ষ টাকা দাবি করে। পরে গত ৪ জানুয়ারি ২০২২ দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা বিনিময়ে সন্ত্রাসীরা বিজয় হংস চাকমা ও তাঁর সহযোগীকে মুক্তি প্রদান করে। আটককৃত কার্বারী বিজয় হংস চাকমা পার্বত্য চুক্তি সমর্থক হওয়ায় তাঁদের আটক ও মুক্তি পণ আদায় করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিজয় হংস চাকমা ও তার সহযোগীকে আটক ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) গোষ্ঠীর বান্দরবান জেলা পরিচালক সুলেন চাকমা, প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুপম চাকমা (অনু) এবং ওয়াইমং মারমা কর্তৃক সংঘটিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কার্বারী ও তাঁর সহযোগীকে আটক ও মুক্তিপণ আদায়ের কাজে বান্দরবান ব্রিগেড অফিসের জিটুআই মেজর মো: এরশাদ উল্লাহ সহায়তা করেন বলে জানা গেছে। মুক্তিপণের টাকা জিটুআই মেজর মো: এরশাদ উল্লাহ, সুলেন চাকমা, অনুপম চাকমা ও ওয়াইমং মারমার মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।