হিল ভয়েস, ১০ জুন ২০২৫, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩২ নং বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের আর্য্যপুর—মাঝিপাড়া সীমান্ত সড়কের এ্যাতগাত্যে (মিলনপুর) নামক গ্রামে একদল উশৃংখল সেটেলার মুসলিম বাঙালি যুবক কর্তৃক এক বাক-প্রতিবন্ধী জুম্ম কিশোরী(১৪) যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।
যৌন হয়রানির শিকার ঐ কিশোরীর বাড়ি বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন ৩২নং বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের এ্যাতগাত্যে নামক গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ৯ জুন, বিকাল আনুমানিক ৪:০০ ঘটিকায় সময়ে ভুক্তভোগী জুম্ম কিশোরী এ্যাতগাত্যে গ্রামের দোকান থেকে আর্য্যপুর–মাঝিপাড়া সীমান্ত সড়কের রাস্তা দিয়ে নিজের বাসায় ফিরছিল।
ঠিক সেই সময়ে মাঝিপাড়া সীমান্ত সংযোগ সড়কে ঘুরতে যাওয়া বাঘাইছড়ির আমতলী ইউনিয়নের ৪ ও ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ সজীব(২৫), মোঃ আল-আমিন(২৩) ও মোঃ সাইদুল ইসলাম ওরফে শহিদুল্লাহ(২২) নামের এই তিন সেটেলার বাঙালি যুবক মোটরসাইকেল যোগে নিজেদের গন্তব্যে ফেরার পথে উক্ত বাক-প্রতিবন্ধী জুম্ম কিশোরীকে(১৪) একা একা দেখতে পায়। এতে তারা কুমতলব এঁটে তৎক্ষণাৎ মোটরসাইকেল থেকে নেমে জোরপূর্বকভাবে ভুক্তভোগী ঐ কিশোরীকে(১৪) জড়িয়ে ধরে এবং তার বিভিন্ন গোপনীয় অঙ্গে হাত দিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করতে থাকেন।
এমন সময় সৌভাগ্যক্রমে এ্যাতগাত্যে গ্রামের কয়েকজন স্থানীয় যুবক সেখানে এসে উপস্থিত হন। এবং তারা বিষয়টি টের পেয়ে তৎক্ষণাৎ চিৎকার চেঁচামেচি করে প্রতিবাদ জানানোর সাথে সাথে গ্রামের অন্যান্য স্থানীয় অধিবাসীরাও দৌঁড়ে এসে সেখানে উপস্থিত হন।
এতে অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থল থেকে ঐ মুসলিম বাঙালি যুবকরা নিজেদের মোটরসাইকেল দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পথিমধ্যে তাদের আটকানো হয়। পরে গ্রামবাসীরা মিলে তাদের কিছু শাস্তি দিয়ে আমতলী ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকদের জিম্মায় শর্তসাপেক্ষে ছেড়ে দেয় বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সীমান্ত সংযোগ সড়ক দিয়ে মাঝিপাড়ায় ঘুড়তে বা বেড়াতে যাওয়ার অছিলায় সেখানে(মাঝিপাড়া গ্রামে) অবস্থান করে বিভিন্ন অসামাজিক, অনৈতিক ও হয়রানিমূলক কার্যকলাপের জন্য এবং স্থানীয়দের সামগ্রিক স্বার্থে দুই-আড়াই মাস আগে অস্থানীয় এবং ভ্রমণার্থীদের জন্য মাঝিপাড়া যাওয়া পুরোদমে নিষিদ্ধ করে সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা।
কিন্তু তারপরও কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি সেই নিষিদ্ধের ঘোষণা তোয়াক্কা না করে মাঝিপাড়া ভ্রমণের ফলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে চলেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সেখানকার স্থানীয় অধিবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা।
+ There are no comments
Add yours