প্রসঙ্গঃ মগ পার্টি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর তথাকথিত সন্ত্রাস দমন

0
1833
ছবি: রাজস্থলীর গাইন্দা ইউনিয়নের পোয়াইতু পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মগ পার্টির সদস্যদের একটি দল

অংম্রান্ট অং

অপহরণ, খুন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ লোকজনের মুখে মগপার্টি নামে একটা ক্ষুদ্র সশস্ত্র দলের কথা শোনা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে সশস্ত্রভাবে প্রচার, ভোটারদের হুমকি ও জিম্মি করার মাধ্যমে এই দলটি রাঙ্গামাটির রাজস্থলী এলাকায় আত্মপ্রকাশ করে। তারপর এদলের সদস্যরা রাঙ্গামাটির রাজস্থলী ও বান্দরবান সদর এলাকায় নির্বিচারে তঞ্চঙ্গ্যা, চাকমা, মারমা এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কর্মী-সমর্থকদের হত্যা শুরু করে। এর ফলে দলটি জনসাধারণের মধ্যে একটি আতঙ্ক হয়ে থাকে।

মগ পার্টির সদস্য ও সমর্থকদের ভাষ্যে দলটির নাম Mog Liberation Party (MLP) অর্থাৎ মগ স্বাধীনতা পার্টি বা মগ মুক্তি দল। জানা গেছে, দলটির নেতা খইলাং  ALP (Arakan Liberation Party) -র সশস্ত্র শাখার প্রধান ছিল। এএলপিযখন মায়ানমারে আরাকানের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে আলোচনা-বৈঠকের জন্য যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে তখন দলটির সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ নেতা-কর্মী আরাকানে চলে যায়। দলটির সাধারণ সম্পাদক মিসেস ম্রারাজালাং বর্তমানে মায়ানমারের পুরানো রাজধানী ইয়াংগুনে বসবাস করেন বলে জানা যায়। দলটি মায়ানমারে কার্যালয় খুলে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালু রেখেছে বলে জানা গেলেও এপর্যন্ত কোনো চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে অথবা রাজনৈতিক অধিকার-ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে এমন কথাবার্তা শোনা যায়নি। এ অবস্থার মধ্যে আরাকানে আরেকটি সশস্ত্র আন্দোলনকারী AA (Arakan Army) নামক দলটি আরাকানী জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন লাভ করে।

এএলপিদলটি মায়ানমার সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধে মায়ানমার সেনাবাহিনীকে সাহায্য করা এবং এএ সদস্যদের ধরে দেওয়ার কাজ করে আরাকানী জনগণের মধ্যে সরকারি দালাল সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত হয়। শোনা যায়, এএলপি আরাকানী জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে ঘৃণিত একটি দল। এমনকি এএলপি সদস্যকে পেলে আরাকানী সাধারণ লোকজনও হত্যা করে ফেলে। ঐ সময়ে এএলপি সদস্যদের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র অংশ (১৪-১৭ জনের মতো হবে) মায়ানমারে পাড়ি না দিয়ে ভারতের মিজোরামে থেকে যায়। পরে তাদের পরিবারে খাবারসহ বিভিন্ন অভাব দেখা দিলে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বান্দরবান জেলার থানচির বলিপাড়া এলাকায় সশস্ত্রভাবে চলে আসে। পাড়াবাসী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি শুরু করে দলটি। সেখান থেকে রুমা, রোয়াংছড়ি এলাকায় এসেও চাঁদাবাজি করতে থাকে। একসময় লামা, আলিকদমে গিয়ে দলটি চাঁদাবাজি করে বলে জানা গেছে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের গব ও পোয়াইতু পাড়া এলাকায় আশ্রয় নেয়। বিভিন্ন নির্বাচনে শাসকদল আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে বর্তমানে পোয়াইতু পাড়ায় স্থায়ীভাবে ঘাঁটি গেড়ে আছে।

আওয়ামীলীগের পক্ষে দলটিকে কাজে লাগাতে পেরে আওয়ামীলীগ নেতারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে মিলেমিশে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জুম্ম জনগণের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামসহ রাজনৈতিক কাজে (পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন ও আদিবাসী স্বীকৃতির আন্দোলন) বাধাদান, দুর্বল করা এবং জুম্মদের মধ্যে জাতিগত ঐক্য নষ্ট করা, জাতিগত ভেদবুদ্ধি বাড়িয়ে তোলার জন্য রাজনৈতিক নীতি-আদর্শ ও কর্মসূচিবিহীন এএলপি-র একটি ক্ষুদ্র অংশকে নিয়ে একদিকে মারমাদের আলাদা রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রচার চালানো এবং আরেকদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে সন্ত্রাস কবলিত হিসেবে দেখানোর (দূর ভবিষ্যতে মারমা সন্ত্রাসী বলার লক্ষ্য) উদ্দেশ্যে  এএলপি থেকে  এ (A)অক্ষরটি কেটে সেখানে এম (M) অক্ষর বসিয়ে এমএলপি (MLP) করা হয়। এখন এমএলপি-র পূর্ণশব্দ মগ লিবারেশন পার্টি হবে নাকি মারমা লিবারেশন পার্টি হবে আওয়ামী লীগ নেতা, কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে বিতর্কে আছে।

১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে সরকারের সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে উল্লেখিত জুম্ম জনগণের এক জাতিসত্তা ‘মারমা’ শব্দকে ভুল ধরার জন্য আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা খুবই ব্যস্ত হয়ে ওঠে। তাঁরা প্রচার করতে শুরু করে মারমাদের জাতিগত পরিচয় মারমা নয়,তারা মগ। এর ঐতিহাসিক ভিত্তি হিসেবে দেখায়, অতীতে সরকারি কাগজপত্রে পুরুষকে চাইহ্লাপ্রু মগ আর নারীকে মেহ্লাপ্রু মগিনী লেখা হতো। কিন্তু বাস্তবে মারমাদের উচ্চারিত ভাষা ও লিখিত ভাষাকে কখনো মগ ভাষা বলা হতো না। বলা হতো মারমা ভাষা বা ম্রাইমা ভাষা। মারমা ভাষায় মগ, এমন কোনো শব্দও নেই। জানা যায়, সেনাবাহিনী থেকে  এমএলপি-কে ‘মারমা পার্টি’ বলার জন্য নির্দেশ আছে। তবে নেতাদের উচ্চারিত ভাষা অনুযায়ী মগ লিবারেশন পার্টির সংক্ষিপ্ত রূপ ‘মগ পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যায়।

এপর্যন্ত মগ পার্টির কোনো ঘোষিত কর্মসূচি শোনা যায়নি। পূর্বে কোনো কর্মসূচির ভিত্তিতে আন্দোলন করেছে, এমন কোনো ইতিহাসও শোনা যায়নি। তবে বিভিন্ন নির্বাচন সময়ে ও চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পাড়ায় সভার আলোচনাতে এ দলের কর্মীরা বলে যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (তাদের ব্যবহৃত শব্দ ঔঝঝ) হলো চাকমা পার্টি। চুক্তি বাস্তবায়ন হলে মন্ত্রী, এমপি, আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চাকমারা হবে। তিন পার্বত্য জেলা চাকমারা শাসন করবে। চাকমারা মারমাদের নিপীড়ন-শোষণ করবে বলে জুজুর ভয় দেখানোসহ বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়া হয়।

বলাবাহুল্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি চুক্তি। এ চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী কে হবে, আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদ কীভাবে গঠিত হবে, স্থায়ী বাঙালিসহ জুম্ম জাতিসত্তার মধ্য কে বা কারা কতজন হবে তা নির্ধারিত। এ চুক্তি সংশোধন বা লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই। গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী দীপঙ্কর তালুকদারের পক্ষে মগ পার্টি প্রচার করতে গিয়ে বলেছিল, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রার্থী উষাতন তালুকদার হলো চাকমা; তাকে ভোট দিতে পারবে না। এমন একটি প্রচার সভার মধ্যেই মারমারাও একটি প্রশ্ন তোলে বলে জানা যায়। তাঁরা জিজ্ঞেস করেছিল, “দীপঙ্কর তালুকদার কি মারমা? আওয়ামীলীগ কি মারমা পার্টি?” কিন্তু মগ পার্টির সদস্যরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।

তাছাড়া মগ পার্টি সদস্যদের বলতে শোনা যায়, তারা মারমাদের ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদে মেম্বার-চেয়ারম্যান করে দেবে ইত্যাদি। এ মেম্বার-চেয়ারম্যান করে দেওয়ার কাজও বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় নয়। তাদের কার্যকলাপে দেখা যায়, তঞ্চঙ্গ্যা, চাকমা, মারমাসহ জুম্ম আদিবাসীদের হত্যা, অপহরণ করা এবং পরিবার প্রতি টাকার পরিমাণ বসিয়ে অর্থ সংগ্রহ করা। মগ পার্টি নামের সশস্ত্র দলটি যে মগ বা মারমা লিবারেশন পার্টি বলে, এতে তারা কাদের কাছ থেকে কোন ভূখণ্ডের লিবারেশন বা স্বাধীনতা, কাদের নিকট মগ বা মারমারা পরাধীন এ ব্যাপারে কখনো ব্যাখ্যা করতে শোনা যায়নি। মগ বা মারমা মেম্বার অথবা চেয়ারম্যান হলে মগ বা মারমা জাতি স্বাধীন পেয়ে গেল বুঝায় কিনা তা-ও স্পষ্ট করা হয়নি।

মগ পার্টির বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়, এ সশস্ত্র দলটি নেতা খইলাংসহ রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের পোয়াইতু পাড়াতে স্থায়ীভাবে থাকে। তাদের সদস্য সংখ্যা নারীসহ সর্বমোট ৪৮ জন। সেখান থেকে অন্যান্য পাড়ায় গিয়ে অপহরণ, হত্যা ও চাঁদাবাজি করে থাকে। পোয়াইতু পাড়াটি রাজস্থলী সেনাক্যাম্পের দক্ষিণ দিকে, বাঙ্গালহালিয়া সেনাক্যাম্পের দক্ষিণ-পূর্বদিকে এবং আন্তা পাড়া সেনাক্যাম্পের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। পাড়াটিতে রাজস্থলী বাজার থেকে হেঁটে যেতে ৩০ বা ৪০ মিনিট আর গাড়িতে করে ১০ বা ১৫ মিনিট লাগে। আর বাঙ্গালহালিয়া বাজার হতে ৫ নম্বর নামক বাজার হয়ে হেঁটে যেতে প্রায় দুই ঘন্টা আর গাড়িতে হলে রাজস্থলী হয়ে যেতে হয় এবং আন্তা পাড়া সেনাক্যাম্প থেকে গাড়িতে মনজয় পাড়া হয়ে চুশাক পাড়ায় এবং সেখান থেকে পোয়াইতু পাড়ায় হেঁটে যেতে ৩০ মিনিট সময় লাগে। পাড়াটির চারদিকেই রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাক্যাম্পের অবস্থান।

মগ পার্টির নেতা খইলাং সম্পর্কে জানা যায়, তার পারিবারিক নাম উচিংমং। তিনি বার্মিজ ভাষায় অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন। বাংলা ভাষায় কথা বলতেও পারে না। তার পরিবার বর্তমানে ভারতের মিজোরামে রয়েছে বলে জানা যায়। এএলপি-র অন্যান্য সদস্যরা বলে, পার্টির শৃঙ্খলা বিরোধী ও ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে খইলাংকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জানা গেছে যে, খইলাং-এর বক্তব্য অনুযায়ী তার জন্ম পোয়াইতু পাড়ায় হলেও ছোটবেলা থেকে পরিবারে সাথে মায়ানমারের আরাকানে চলে যায়। এএলপি সশস্ত্র দলটিতে সদস্য না হওয়ার পূর্বে কোনো দিনই পোয়াইতু পাড়াতে আসেনি।

এই মগ পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মদদদাতার নাম শোনা যায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (মন্ত্রী বীর বাহাদুরের আপন সম্বন্ধী) মি. ক্যশৈহ্লাকে। বর্তমানে তাদের প্রকাশ্য পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মি. উবাচ মারমা।

আরো জানা যায়, মগ পার্টি কর্তৃক আদিবাসীদের অপহরণ ও হত্যা বেড়ে গেলে চুক্তির পক্ষের জনগণের সাথে সংঘাতেরও রূপ নেয়। চুক্তি পক্ষের সশস্ত্র দল পোয়াইতু পাড়া এলাকায় অবস্থান করছে, এমন সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ঐ এলাকায় অপারেশনে যায়। এসময় সেখানে অবস্থান করা মগ পার্টির সদস্যরা সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে একজন সেনাসদস্য নিহত হয়। পরবর্তীতে সেনাসদস্যরা আবারও ঐ এলাকায় গেলে মগ পার্টির পুঁতে রাখা মাইনে পরে এক সেনাসদস্য গুরুতর আহত হয়। তৎপরবর্তীকালে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে নিয়ে সেনারা আর অপারেশনে যায়নি। এমনকি সেনাবাহিনী অনেক সময় মগ পার্টিকে রক্ষার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনে নিরাপত্তা সহায়তাও দিয়ে থাকে বলে জানা যায়।

দেখতে পাওয়া যায় যে, মগ পার্টি যে এলাকায় যাবে তার পিছু পিছু সেনাবাহিনী সেখানে চলে যাবে অথবা ঐ এলাকার কিছু দূরে পাহারা দিয়ে সেনাবাহিনী অবস্থান করে থাকবে। যাতে মগ পার্টিকে কেউ আক্রমণের সুবিধা করতে না পারে বা মগ পার্টি আক্রান্ত না হয়। অপরদিকে মগ পার্টির সদস্যদের নিহত হওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনী উদ্যোগী হয়ে পুলিশের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা-কর্মী, সমর্থক ও নিরীহ গ্রামবাসীর নামে মিথ্যামামলা দেওয়ার ব্যবস্থা করে চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন দমন করার উদ্দেশ্যে। পরে যাকে-তাকে গ্রেফতার করে মামলার সন্দেহজনক আসামি করে হয়রানি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয়। এতে প্রচার চালানো হয়ে থাকে, সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা ও আইনের শাসন রক্ষার কাজ করছে। এসব মিথ্যা মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও পার্বত্য চুক্তির পক্ষের জনপ্রতিনিধি, এমনকি বহুদূরবর্তী বান্দরবান জেলার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা-কর্মীদেরও জড়ানো হয়ে থাকে।

জানা গেছে, পরবর্তীতে মগ পার্টি নামক সশস্ত্র দলটির প্রকৃত অবস্থা জেনে, মগ বা মারমা নাম অপব্যবহার করে তাদের দুর্বৃত্তের কর্মকাণ্ড দেখে, জুম্ম জনগণের জন্য ক্ষতিকর কাজ সম্পর্কে জেনে, অধিকারবিহীন বঞ্চিত-নিপীড়িত, গরীব-দুঃখী মারমা ও জুম্ম জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবং নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনেক সদস্য দল ছেড়ে চলে আসে। তাদের কেউ কেউ চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে যোগ দিয়েছে বলেও শোনা যায়।

এখন মানুষের বিবেকের কাছে প্রশ্ন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী কি আসলেই সন্ত্রাস দমন করছে? আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করছে কি? নাকি তারাই পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সৃষ্টিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে সন্ত্রাসে দিকে ঠেলে দিচ্ছে?