পাহাড়িদের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত, বিচ্ছিন্নতাবাদী নয়: পিসিপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রোবায়েত ফেরদৌস

0
1015

হিল ভয়েস, ২১ মে ২০২১, বিশেষ প্রতিবেদক: পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের (আদিবাসী জুম্মদের) আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত, তা কখনো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হতে পারে না বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস।

গতকাল ২০ মে ২০২১ পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)’র ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন ঢাবি’র এই শিক্ষক।

পিসিপি’র প্রচার মাধ্যম Voice of PCP – কেওক্রডং ফেসবুক পেইজ থেকে প্রচারিত এই অনলাইন আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি জুয়েল চাকমা এবং সঞ্চলনার দায়িত্ব পালন করেন সহ-সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, পিসিপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিনোতা ময় ধামাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন কণা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক বসু মিত্র চাকমা, সাংবাদিক নজরুল কবির, পিসিপি’র সহ-সভাপতি সুমন মারমা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মো: ফয়েজ উল্লাহ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা, বাংলাদেশ যুব ফোরামের সহ-সভাপতি চন্দ্রা ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ প্রমুখ।

আলোচনা সভায় পিসিপি’র সহ-সভাপতি সুমন মারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতি গভীরভাবে অনুভব হয়েছিল। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলার দিয়ে রাজনীতির ডেমোগ্রাফি পরিবর্তন করতে শুরু হয় রাষ্ট্রযন্ত্রের ষড়যন্ত্র। সংঘটিত করা হয় ডজন খানেক গণহত্যা। তার মধ্যে লংগদু গণহত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে জন্মলাভ করে আজকের পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। ৩২ বছরের সংগ্রামের গৌরবের সাক্ষী এই ছাত্র পরিষদ। বাংলাদেশ সরকার পাহাড়িদের সাথে পার্বত্য চুক্তি করার পরও নানা তালবাহানা করে চলেছে। এগুলো মূলত জুম্ম জনগণকে উচ্ছেদ করার জন্য চরম চক্রান্ত। ২৪ বছর একটা জাতির জন্য কম সময় নয়। জুম্ম জনগণের সাথে রাষ্ট্রের যে প্রতারণা তা কোনদিন সুফল বয়ে আনবে না।

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, একটি আন্দোলনের পেছনে একটি ইতিহাস রয়েছে। সেই ইতিহাস নিশ্চয় শোষণ বঞ্চনার ইতিহাস। শোষণের বিরুদ্ধে গিয়ে সৃষ্টি হয় একটি আন্দোলন। সেই ১৯৮৯ সালের লংগদু গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের জন্ম। পার্বত্য চট্টগ্রামের সংগ্রামে নারী সমাজের অবদান অনস্বীকার্য। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারী সমাজের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় পাহাড়ি ছাত্র সমাজ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে নিজের ইতিহাস ঐতিহ্য ভুলে যাবার প্রবণতা খুবই উদ্বেগের। নিজের শেকড়ের টান তারা অনুভব করে না। জুম্ম জনগণের রাজনীতির ধারা প্রবাহের পর্যবেক্ষণ জরুরি।

বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমানে দেশে আদিবাসীদের উপর যে নিপীড়ন চলছে তার বিরুদ্ধে আদিবাসী ছাত্র সমাজকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

বাংলাদেশে আদিবাসী যুব ফোরামের সহ-সভাপতি চন্দ্রা ত্রিপুরা বলেন, পিসিপি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের একজন সন্তান হিসেবে যখন থেকে বুঝতে শিখেছি পাহাড় আমাকে গভীরভাবে টানে। কঠিনকে গ্রহণ করে জুম্ম জনগণের বাঁচার অধিকারের জন্য যৌবন অতিবাহিত করছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর উত্থান, জাতিতে জাতিতে, ধর্মীয়ভাবে বিভেদের দেওয়াল তৈরি করা হচ্ছে। প্রগতিশীল অংশের জোরালো অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ের সমস্যার বিষয়বস্তু জানতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুগে যুগে ছাত্র রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আছে। ছাত্র রাজনীতি বাংলাদেশের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে সাহায্য করেছে। বর্তমান সময়েও এর গুরুত্ব বজায় রেখেছে। অতীতের সংগ্রামে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদকে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনে সবসময় পাশে পেয়েছি। পাহাড়ের কিছু ঘটনাবলি নিয়ে বাঙালি সমাজ কিছুটা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়ে যায়, তা নিয়ে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, রাষ্ট্র যেভাবে বর্তমানে নিপীড়কের ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছে তা পাহাড় ও সমতলে প্রায় সমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর হলেও সেটিও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। সরকারও খেয়াল খুশি মতন রাষ্ট্র চালাচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। তাই সবাইকে সমানভাবে সংগ্রামে অবর্তীণ হতে হবে।

লেখক ও সাংবাদিক নজরুল কবীর বলেন, বাংলাদেশের বড় বড় জাতীয় আন্দোলনে পাহাড়ি ছাত্র সমাজকে আমরা সামনের সারিতে পেয়েছি। অনেক পাহাড়ি নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, পার্বত্য চুক্তি করা জেএসএসের ভুল ছিল, কিন্তু আমি বলব চুক্তি করা কোনোভাবে ভুল ছিল না। পার্বত্য চুক্তির আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম একটা অন্ধকার অঞ্চল ছিল। কেউ জানত না বা জানতে দেয়া হত না পার্বত্য চট্টগ্রামে কি হচ্ছে, কি হতে যাচ্ছে। চুক্তি করার ফলে জাতীয় নেতৃত্ব জানতে পারছে পাহাড়ের সত্যিকারের বাস্তবতা। তাই পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের উচিত চুক্তির ফলে পাহাড়িরা কি পেল, কি পেল না ইত্যাদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলোও তুলে আনা। পাহাড়ের ডজনখানেক গণহত্যার প্রকৃত চিত্র অনেকে প্রকৃতভাবে জানে না। সেজন্য গণহত্যার শিকার হওয়া এখনো অনেকে বেঁচে আছে, তাদের থেকে সাক্ষাৎকার নিয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি তৈরি করা যায়। মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার সংসদের বক্তৃতা এখন একটু খুঁজলে হাতে পাওয়া যায়। এটা অনেক ভালো দিক। আমি মনে করি, সব পাহাড়িদের এম এন লারমার সংসদের বক্তৃতা পড়া উচিত। বর্তমানে পাহাড়ের রাজনীতির নেতৃত্বে সন্তু লারমার অনেক চুম্বকীয় বক্তব্য আছে, এগুলো লিফলেট আকারে প্রকাশ করে মানুষের কাছে পৌঁছানো যেত।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক বসু মিত্র চাকমা বলেন, আজকের দিনে সবচেয়ে মিস করছি ২০ মে আসলে যে স্লোগান আর রাজপথ মুখর থাকত, করোনার কারণে আজকে অনলাইনে আলোচনা করতে হচ্ছে। শাসকগোষ্ঠীর চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে একমাত্র কাজ করতে পারে ছাত্র সমাজ। কারণ তারা তরুণ-অরুণ। পাহাড়ে রাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর কঠোর নিয়ন্ত্রণের পরও ছাত্র পরিষদ তার সংগ্রামে অটুট। অটল মনোবলে জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের জন্য নিঃসংকোচ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা খুবই আশাব্যঞ্জক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপনিবেশ হিসেবে মনে করে। সেজন্য রংপুর, বরিশাল থেকে গরীব বাঙালি মুসলমানকে বাসভর্তি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম পুষ করে দেয়া হয় সেনা ক্যাম্পের চতুর্দিকে। রেশন-ভাতা, জায়গা-জমি দিয়ে তাদেরকে লালন-পালন করে বিশেষ বাহিনী।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়িদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন কখনো বিচ্ছিন্নবাদী আন্দোলন হতে পারে না। আর যারা সংবিধানে জায়গা দেয় না তারা বিচ্ছিন্নবাদী, নাকি যারা সংবিধানে আসতে চায় তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী? পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের উচিত চলমান ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো। জাতীয় ইস্যূতে ভূমিকা রাখা। না হলে মানুষ বিভক্ত রাজনীতি মনে করবে। আঞ্চলিক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকতাবাদে বিশ্বাসী হতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন বলেন, জনসংহতি সমিতি, পিসিপি’র পাশাপাশি জুম্ম নারীদের জন্য স্বতন্ত্রভাবে মহিলা সমিতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন গঠিত হলেও পিসিপিতে নারী নেতৃত্ব আরো বাড়ানো দরকার। স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, আমরা যখন বান্দরবানে কেএসমং মারমার বাড়িতে ছিলাম তখন রাতের বেলায় সেনাবাহিনী আমাদের খোঁজে সেখানে এসেছিল। কেএসমং মারমার মা বাংলা না বুঝার ভান করে আর্মিদের সাথে মারমা ভাষায় কথা বলে আমাকে আর্মির হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। সেই দিনগুলোর কথা আমি কখনও ভুলবো না। কল্পনা চাকমা আমার বান্দবী ছিল। ঢাকায় একটা প্রোগ্রামে এসে সে আমার সাথে হলে থাকে। পরদিন সে বাড়িতে চলে যাওয়ার সময় আমি তাকে কলাবাগান বাস কাউন্টারে ড্রপ করে দিয়ে আসি। এর ঠিক দুই দিন পর সে নিখোঁজ হয়।

পিসিপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিনোতা ময় ধামাই বলেন, অনেক দিন পরে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছি। একজন সাবেক কর্মী হিসেবে অনেক গৌরব অনুভব করছি। বাংলাদেশ সরকারের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উপনিবেশ রয়ে গেছে। এখনো ঔপনিবেশিক কায়দায় জুম্মদের শাসন-শোষণ করছে। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। আদিবাসীদের অধিকার, প্রথা, রীতি নিয়ে অনেক কাজ করছি বর্তমানে। জাতিসংঘের মেকানিজম এক্সপার্ট হিসেবে বাংলাদেশের আদিবাসীদের অবস্থা অবহিত করছি যতটুকু সাধ্য রয়েছে। আমরা যে যেখানে থাকি না কেন জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রশ্নে সবসময় সচেষ্ট থাকা উচিত প্রত্যেকের। পাহাড়ী ছাত্র সমাজের দেশের-দশের স্বার্থে আরো শাণিত হয়ে অগ্রপথিক হিসেবে এগিয়ে আসা উচিত।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এখনো মনে আছে ১৯৯২ সালে ১০ এপ্রিল এক লোহমর্ষক লোগাংয়ে গণহত্যা সংগঠিত হয়। আমি তখন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। ছাত্র ঐক্য জোটের কয়েকজন লোগাঙ-এর উদ্দেশে রওনা হয়। খাগড়াছড়ি যাবার পথে আমাদেরকে পথরুদ্ধ করা হয়। আমাদের তীব্র প্রতিবাদে সেনাবাহিনীর ব্যারিকেড কিছুটা পিছিয়ে যায়। রাতে জনৈক এক মেজরের সাথে দেখা করতে আদেশ আসে। আমরা বলেছি, ঢাকায় দেখা করব এখানে নয়। লোগাংয়ে নারী-শিশুসহ বহু জুম্মকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তা আমরা স্বচক্ষে গিয়ে অনুভব করলাম। পরদিন সকালে রাঙামাটির বনরূপা পেট্রোল পাম্পে বক্তৃতা দেবার আগে তিনবার সেনাবহর আমাদেরকে অনুসরণ করে চলে যায়। বুঝতে পারছেন, সেই সময়কালের ইনসার্জেন্সি পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা। এরপর সেনা সদস্যরা জিজ্ঞেস করে এখানে রুহিন আহমেদ প্রিন্স কে। আমি হাত তুলে পরিচয় দিলাম। আমার বক্তব্য আমাকে রেকর্ড করে শুনানো হয়।

সমাপনীর বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি জুয়েল চাকমা বলেন, জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণ স্বপ্ন দেখেছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাহাড়ি আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে। কিন্ত শাসকগোষ্ঠী সহ পাহাড়ের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে সমর্থন না করে চুক্তিবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তার ফল কখনোই সরকার তখা রাষ্ট্রের জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে না।