হিল ভয়েস, ৩১ জুলাই ২০২৫, বান্দরবান: বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় অবস্থিত স্থানীয়ভাবে ভূমি বেদখলকারী হিসেবে কুখ্যাত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকারক পাহাড় কাটার দায়ে ৫৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চল।
গতকাল ৩০ জুলাই ২০২৫ পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট গোলাম বাশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই ক্ষতিপূরণ আরোপের কথা উল্লেখ করা হয়। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির ‘সততা ব্রিজ এন্টারপ্রাইজ’কে ছাড়পত্র বিহীন অভিযোগে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং লামার সরই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জনাব মোঃ কবির হোসেনকে পাহাড় কর্তনের অভিযোগে নিয়মিত মামলার নির্দেশ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়।
উপজেলার প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উক্ত জরিমানা আরোপ করেন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনটি অবস্থিত লামার ৮নং সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি এলাকায়।
‘পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৭ ধারার আলোকে ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়’ বলে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিশেষ করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে স্থানীয় জুম্মদের জুমভূমি সহ পাহাড়ি-বাঙালি গ্রামবাসীদের হাজার হাজার একর ভূমি বেদখল করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে।
লামার সরই ইউনিয়নের এলাকায় ডলুছড়ি, লুলেইন ও বমু মৌজায় ‘কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আদিবাসী ম্রো জনগোষ্ঠী এবং আদি ও স্থায়ী বাঙালি অধিবাসীদের আনুমানিক ২০০০ একরের মতো বিস্তর এলাকা জবরদখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
লামায় কোয়ান্টাম সংস্থা কর্তৃক ভূমি বেদখলের কারণে এলাকার ২৫০ পরিবার ম্রো গ্রামবাসীরা জুম চাষ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং এতে তাদের জীবন-জীবিকা হুমকির মধ্যে পড়েছে বলে জানা গেছে।