নাইক্ষ্যংছড়িতে রোহিঙ্গা জঙ্গী আরএসও/আরসা’র মাইনের আঘাতে এক জুম্ম আহত

0
502
ছবি : প্রতিকী

হিল ভয়েস, ৭ মার্চ ২০২২, বান্দরবান:সম্প্রতি বান্দরবান পার্বত্য জেলাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকায় রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গী গোষ্ঠী আরএসও/আরসার পুঁতে রাখা মাইনের বিস্ফোরণে এক নিরীহ জুম্ম গ্রামবাসী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত ব্যক্তির পরিচয় সুজন তঞ্চঙ্গ্যা (২২), পিতা-অংশামং তঞ্চঙ্গ্যা, গ্রাম-বাঁশপাড়ি, ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়ন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মার্চ ২০২২ দুপুর আনুমানিক ১২:০০ টার দিকে সুজন তঞ্চঙ্গ্যা নামে ওই গ্রামবাসী নিজেদের গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় গরু খুঁজতে যায়। গরু খোঁজার এক পর্যায়ে আরএসও/আরসার পুঁতে রাখা মাইনের হঠাৎ বিস্ফোরণে আঘাতপ্রাপ্ত হলে গুরুতর আহত হন সুজন তঞ্চঙ্গ্যা।

পরে গ্রামবাসী সুজন তঞ্চঙ্গ্যাকে উদ্ধার করেন এবং বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

গ্রামবাসীর সূত্রে জানা গেছে, বহুদিন ধরে রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গী গোষ্ঠী আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন)/আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মী) এর সদস্যরা ঘুমধুম ইউনিয়নের বাঁশপাড়ি গ্রামের বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তবর্তী ৩৯ পিলার এলাকায় অবস্থান করছে। ঐ এলাকায় তারা তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে চারিদিকে বিপদজনকভাবে মাইন পুঁতে রেখেছে।

এজন্য পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীদের অনেক ঝুঁকিপূর্ণভাবে দিনযাপন করতে হচ্ছে এবং ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে তাদের জুমচাষ করতে হচ্ছে বলে জানান গ্রামবাসীরা।

রোহিঙ্গা জঙ্গী গোষ্ঠীর সদস্যদের কর্তৃক ঘুমধুম এলাকায় স্থানীয় মারমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

নাইক্ষ্যংছড়িতে রোহিঙ্গা মুসলিম সশস্ত্র জঙ্গী কর্তৃক স্থানীয় জুম্মদের হয়রানির অভিযোগ

সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর অবস্থানরত রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে আরাকান সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সশস্ত্র সংঘাত হয়ে আসছে বলে বিশ্বস্থসূত্রে জানা গেছে। এতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মী (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-এর কয়েক ডজন সদস্য নিহত এবং অপরপক্ষে আরাকানী গেরিলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিহত হয়েছে বলে সূত্রে উল্লেখ করা হয়। এতে ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থানীয় অধিবাসীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছে।