দেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় ঐক্য পরিষদের অঙ্গসংগঠনসমূহের মানববন্ধন

0
480

হিল ভয়েস, ১৯ জুন ২০২২, ঢাকা: দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অঙ্গ সংগঠনসমূহের উদ্যোগে গতকাল ১৮ জুন ২০২২ ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ ও দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক অরুণ কুমার গোস্বামী, আহ্বায়ক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

ঐক্য পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মিহির রঞ্জন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এই অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়।

প্রেস বার্তায় উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের রামের কাঠি গ্রামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টি করে মৌলবাদীদের হামলা ও তা প্রশমনের অজুহাতে ৫৪ ধারায় মামলা করে শচীন বাড়ৈকে গ্রেফতার, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নে নারায়ণ নাথের বাড়ি ভাংচুর, বাগেরহাটের চিতলমারীতে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৬ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা, কক্সবাজারে বড় মহেশখালী ইউনিয়নে হিন্দুপাড়ায় হামলা, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়ায় জমি দখলের লক্ষ্যে তিন গৃহবধুর উপর হামলা ও অমানুষিক নির্যাতন, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য রেবা রাণীকে শ্লীলতা হানিসহ আরও কয়েকটি স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়। মহেশখালীতে নয়ন শীল গুরুতর আহত হয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা, মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং জায়গা-জমি দখলের চেষ্টার চিত্র তুলে ধরে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে হামলা ব্যাপক রূপ লাভ করেছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব কাক্সিক্ষতভাবে এগিয়ে আসেনি, প্রশাসনিকভাবেও কঠোর পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। সাম্প্রদায়িক শক্তি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ অবস্থা চলতে পারে না।

মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক কাজল দাস, সদস্য সচিব শিপন বাড়াইক, মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতিদ্বয় সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য ও মধুমিতা বড়ুয়া এবং সাধারণ সম্পাদক দিপালী চক্রবর্তী, যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুনীল বিশ্বাস, ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শ্রী কাজল দেবনাথ, এ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, সাংবাদিক বাসুদেব ধর ও মিলন কান্তি দত্ত এবং সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।