হিল ভয়েস, ৯ আগস্ট ২০২৫, ঢাকা: আজ (৯ আগস্ট) আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কর্তৃক ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণসমাবেশে আগত অতিথিরা বাংলাদেশের আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি সহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
“আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যৎ গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ”-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে উক্ত গণসমাবেশ এবং এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যালি আয়োজন করা হয়। আদিবাসীদের প্রতিবাদী গান পরিবেশন ও বাদ্যযন্ত্র বাজানোর মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
গণসমাবেশ সঞ্চালনা করেন সংগঠনের ক্রীড়া, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক উজ্জল আজিম, কেন্দ্রীয় সদস্য পল্লব চাকমা এবং রিপন বানাই। জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী পাঠ করেন হাজং স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সদস্য বৈশাখী হাজং।
গণসমাবেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেলেনা তালাং, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের নারী বিষয়ক সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ গজেন্দ্রনাথ মাহাতো, মানবাধিকার কর্মী ও নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশি কবির, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, এএলআরডি নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার সারা হোসেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ সভাপতি অজয় এ মৃ। আদিবাসী দিবসের আলোচনায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, পার্বত্য চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন, সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন ও মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জাতিসংঘ ঘোষিত এবারের মুলসুর আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ এর তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈচিত্রময় এই বাংলাদেশে আদিবাসীরা আজও অবহেলিত। আজকে সারা বিশ্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে আদিবাসী দিবস পালিত হলেও বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের কোনো আয়োজন নেই।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে আদিবাসীরা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে, তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে বহু সংস্থা ও ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও বেঁচে থাকার সংগ্রামে কাজ করে যাচ্ছেন। যারা নিরলসভাবে এ সংগ্রামে লড়াই করছেন, তারা আমাদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের কমিশন থাকলেও এখনো পর্যন্ত আদিবাসীদের ভূমি অধিকার রক্ষার জন্য কোনো ভূমি কমিশন গঠন করা হয়নি। ফলে তারা এখনো বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশেও জাতিসংঘের নানা দিবস পালন করা হলেও, গত ৩০ বছরে একবারও রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে ভূমি অধিকার হারালে বা নারী নির্যাতনের শিকার হলে রাষ্ট্র তাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য কাজ করবে এবং প্রতি বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করবে। আমরা চাই বাংলাদেশ হবে মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক। যেখানে এ দেশের আদিবাসীরা তাদের মর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, সরকার আসে, সরকার যায়, কিন্তু আদিবাসীদের অধিকার অধরাই থেকে যায়। আদিবাসীরা প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে। আজকে সারা দেশে আদিবাসীদের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন এবং ভূমি দখল করা হচ্ছে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ৩০ লাখের বেশি আদিবাসী হলেও, তাদের অধিকার সুরক্ষার জন্য এখনো কোনো কার্যকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ভূমি দখল, বিনা অপরাধে কারাবরণ, নারীর প্রতি সহিংসতা-এসব সমস্যা বমসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের প্রান্তিক করে রাখা হচ্ছে।
শাহীন আনাম আরও বলেন, বাংলাদেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা জরুরি। সরকার যদি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখে, তবে আইনি ও কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে আদিবাসী জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মানবাধিকার কর্মী ও নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবির বলেন, যখনি আমরা আদিবাসীদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দেখি, তখনই আমরা প্রতিবাদের আওয়াজ তুলি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র বারবার মিথ্যাচার করছে যে, দেশে কোনো আদিবাসী নাই। অথচ, বাংলাদেশ বহু জাতির, বহু ভাষার, বহু ধর্মের দেশ। রাষ্ট্রের সদিচ্ছার অভাবে আজ তারা সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাচ্ছে না। ফলে রাষ্ট্র আজ তাদেরকে বরাবরেই অস্বীকার করছে।
এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, ২৪শের ছাত্র গণঅভ্যূত্থানের মূল উদ্দেশ্য ছিল- সকল ধর্মের, বর্ণের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। অথচ রাষ্ট্র আজও আদিবাসী দিবস অনুষ্ঠান পালন করতে বাধা দেয়। পার্বত্য চুক্তি অবাস্তবায়িত অবস্থায় থেকে যায়। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হলেও নিপীড়িত, নির্যাতিত, মেহনতি আদিবাসী মানুষের অধিকার আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
সম্মানিত অতিথি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার সারা হোসেন বলেন, সংবিধানে এখনো আদিবাসীদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি আছে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা ভালো নেই। রাষ্ট্রের অন্যায়ের মাধ্যমে সবসময় সেখানকার আদিবাসীরা অবহেলিত ও বঞ্চিত হয়ে আসছেন। বম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, ম্রোদের ভূমি দখল করা হচ্ছে। বহু বম পরিবার বিদেশে আশ্রয় নিলেও বর্তমান সরকার তাদের দেশে ফেরানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একইসাথে নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর নির্যাতন, কল্পনা চাকমার অপহরণ, রাখাইন পরিবার উচ্ছেদ এবং আদিবাসীদের ওপর চালানো অন্যান্য সহিংসতার ঘটনার সমাধানে সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ বলেন, আজকে সারা বিশ্বে আদিবাসী দিবস পালিত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদশে আদিবাসী শব্দটিও বলা যাচ্ছে না। আদিবাসী সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে গাইবান্ধা সমগ্র বাংলাদেশে আজ আদিবাসীদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। রাষ্ট্রের সাম্প্রদায়িক চেতনা লালনের ফলে প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে তিনি তার বক্তব্যে বলেন।
বাসদ এর সহ সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, রাষ্ট্র আজ আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ। অথচ,এই ভূখন্ডে বেঁচে থাকার অধিকার সকল জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে। তাদেরকে আজকে নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। পার্বত্য চুক্তিকে অবাস্তবায়িত অবস্থায় রেখে সেখানে সংঘাত জিইয়ে রাখা হয়েছে, গাইবান্ধায় সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিয়ে ইপিজেড করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ চাই না, যেখানে নিজ দেশের নাগরিকরা তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে, নির্যাতিত হবে।
নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ন সমন্বয়কারী জাকির হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে ভূমি কমিশন গঠিত হলেও তা এখনো কার্যকর করা হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও আজও সেই চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সমতলের সব আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, নতুন এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২৪ শের গণঅভ্যূত্থানে পাহাড়ি-বাঙালি, হিন্দু-মুসলিম সকল জাতির অংশগ্রহণ ছিল। অথচ, আজকে তাদেরকে আমরা অস্বীকার করছি। তিনি বলেন, আমরা আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই। অবিলম্বে আমরা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশনসহ আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই।
সমাবেশে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার অনুপস্থিতিতে তার পাঠানো লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কার্যকরী সদস্য পল্লব চাকমা। তিনি তার বক্তব্যে আজ বিশেষ এই দিনে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিপীড়ন, নিষ্পেষণ ও অধিকারহীন বাস্তবতায় বসবাসকারী ৪৮ কোটির অধিক আদিবাসী জনগণকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশে পাহাড় ও সমতলে বসবাসকারী ৪০ লক্ষাধিক আদিবাসী জনগণের টিকে থাকার লড়াইকে শাণিত করার জন্য এবং তাদের মধ্যকার ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ়করণে আদিবাসী তরুণদের আরও অধিকতর ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের পাহাড় ও সমতলের অধিকাংশ জনগণ এখনও অস্তিত্বের হুমকির মধ্যে দিন যাপন করছে। সাম্প্রতিক ছাত্র জনতার নেতৃত্বে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যূত্থানের পর অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে চলমান সংস্কার কার্যক্রমেও আদিবাসীদের কোনো সংগঠন বা নেতৃত্বের সাথে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি এই সরকার।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সভপতি আন্তনি রেমা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিনিধি জোনা গোস্বামী কাজল। এছাড়াও আরও সংহতি বক্তব্য রাখেন ডাঃ গজেন্ত্রনাথ মাহাতো, সহ সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ সভাপতি অজয় এ মৃ তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও বাংলাদেশে আদিবাসীরা আজও নির্যাতিত। বাংলাদেশ জন্মের পর থেকে আদিবাসীরা তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবাস্তবায়িত অবস্থায় পড়ে আছে এবং সমতলে গাইবান্দা, খাসি পুঞ্জি সহ আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আলোচনা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ ও অন্যান্য আদিবাসী সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বাংলা একাডেমি হয়ে আবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে আদিবাসী দিবস ২০২৫ অনুষ্ঠানমালার প্রথম অধিবেশন সমাপ্তি ঘটে এবং বিকাল সন্ধ্যা পযন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আদিবাসী দিবস সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
+ There are no comments
Add yours