হিল ভয়েস, ২৩ জুলায় ২০২৫, ঢাকা: দেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিকাশে সহায়তা করার লক্ষ্যে একটি মিশন খোলার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস এবং বাংলাদেশ অন্তর্বতী সরকারের তিন বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। ২৮ ধারা সংবলিত সমঝোতা স্মারকটি সই করেছেন বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষে হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
গত ১৮ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার জেনেভা থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতির একটি জোরালো বার্তা দেওয়া হলো। এটি আমাদের মিশনকে বাংলাদেশ সরকার, নাগরিক সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে সরাসরি মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে সাহায্য করবে।’
এ কার্যালয় চালু হলে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করতে পারবে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে, মানবাধিকার বিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকার ও নাগরিক সমাজের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করবে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন।
এতে এই খবর প্রকাশের পর মানবাধিকারকর্মীরা বলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের এই দপ্তর চালু হলে এখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তা সহায়ক হবে।
আদিবাসী সংগঠনগুলো ঢাকার উক্ত মানবাধিকার অফিসে আদবিাসীদের জন্য একটি পৃথক সেল রাখার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান করেছে।
অন্যদিকে, ঢাকায় মানবাধিকার কমিশনের অফিস চালু নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো।
গত ১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ জানিয়েছে যে, “বাংলাদেশে মানবাধিকার কমিশনের অফিস খুলতে দেওয়া হবে না”।
অবিলম্বে চুক্তি বাতিল না করলে “কঠোর কর্মসূচি” ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
+ There are no comments
Add yours