চিংমা খেয়াংকে ধর্ষণের পর হত্যার ২২ দিন পার হলেও প্রশাসনের নীরবতায় খেয়াং স্টুডেন্ট ইউনিয়ন এর তীব্র নিন্দা

হিল ভয়েস, ২৮ মে ২০২৫; বান্দরবান: বান্দরবানের থানচি উপজেলার মংখয় পাড়ায় (খিয়াং পাড়া) তিন সন্তানের জননী চিংমা খিয়াং নামের একজন জুম্ম নারীকে বহিরাগত বাঙালি কর্তৃক জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার ২২ দিন পার হলেও প্রশাসনের নীরবতায় বাংলাদেশ খেয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (বিকেএসইউ) তীব্রভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, চিংমা খেয়াংকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যার ২২ দিন পার হলেও প্রশাসনের নীরবতা আমাদের হতবাক করে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এখনও আলোর মুখ দেখেনি। এটা কেবল চিংমা খেয়াং এর প্রতি অবিচার নয়, এটি আমাদের আদিবাসী অস্তিত্ব, নিরাপত্তা ও ন্যায়ের অধিকারকে উপহাস করার শামিল।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, চিংমা খেয়াং এর ধষর্করা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে, কিংবা প্রশাসনিকভাবে গোপনীয়তায় ঢেকে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অসচেতনতা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নির্লিপ্ততাকে তীব্রভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ খেয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (বিকেএসইউ) নিম্ন দাবিসমূহ বিবৃতিতে উত্থাপন করে:

১. চিংমা খেয়াং হত্যার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
অবিলম্বে তদন্ত শেষ করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তদন্তে আদিবাসী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে। রিপোর্ট গোপন রেখে বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্ব করা চলবে না।
৫. আদিবাসী নারীদের সুরক্ষার জন্য স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে পৃথক আইন ও সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।

More From Author