হিল ভয়েস, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বান্দরবান: বান্দরবান জেলাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যা (৫৫) নামে এক জুম্ম গ্রামবাসী পাহাড়ে গরু চড়াতে গিয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীরা ধারণা করছেন, রোহিঙ্গাদের জঙ্গি সংগঠন আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন)-এর সন্ত্রাসীরা গরুগুলো সহ ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যার বাড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ভালুকিয়া গ্রামে। তিনি ভালুকিয়া খালের শেষ সীমান্তে কলাবাগান করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন গ্রামবাসীদের গরু চড়ানোর কাজও নিতেন। ফলে তার কাছে প্রায় ১৫-২০টি গরু ছিল, যেগুলো তিনি পাহাড়ি এলাকায় চড়াতেন।
তবে, সম্প্রতি ঐ এলাকায় রোহিঙ্গা সংগঠন আরএসও ও আরসা’র সশস্ত্র সদস্যদের আনাগোনা ও তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায়, গ্রামবাসীদের পরামর্শে ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যা রাতে মূল গ্রামে এসে রাত্রিযাপন করতেন। সকালে আবার গরুগুলো চড়াতে যেতেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর, সকালে যথারীতি গরু চড়াতে গিয়ে সেদিন আর রাতে ফিরে আসেননি ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যা। গতকালও (২৪ সেপ্টেম্বর) সারাদিন তিনি ফিরে না আসায়, ভালুকিয়া ও ফাত্রাঝিরি গ্রামের উদ্বিগ্ন গ্রামবাসীরা (১০-১২ জন) ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যার বাগানে গিয়ে ও আশপাশের এলাকায় অনুসন্ধান চালান। কিন্তু তারা কোথাও ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যা ও তার গরুগুলি খুঁজে পাননি।
এলাকাবাসীর সন্দেহ, আরএসও’র সন্ত্রাসীরাই গরুগুলি সহ ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যাকে ধরে নিয়ে গেছে।
গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আরএসও সদস্যরা ভালুকিয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী ৩৯-৪১ নং সীমান্ত পিলার ওয়াক্কুডং পাহাড় ও গার মোইন ছড়া এলাকায় ঘাঁটি করে অবস্থান করছে এবং সেখান থেকে তৎপরতা চালাচ্ছে। একসময় সেই এলাকায় আরাকান আর্মির সদস্যরা অবস্থান করেছিল।
ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যাকে খুঁজে না পাওয়ায় গ্রামবাসীরা ঘটনাটি পাশ্ববর্তী রেজু পাড়া বিজিবি ক্যাম্পে অবহিত করেছেন বলে জানা যায়।
আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রায় ১০০-১৩০ জন নারী-পুরুষ গ্রামবাসী আবার নিখোঁজ ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যাকে খুঁজতে নেমেছেন বলে জানা গেছে। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ ওয়ামং তঞ্চঙ্গ্যার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
+ There are no comments
Add yours