খাগড়াছড়িতে এক শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক প্রাথমিকের এক প্রধান শিক্ষিকাকে প্রহারের অভিযোগ

0
849
ছবি: আহত প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরা

হিল ভয়েস, ১৬ আগস্ট ২০২২, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাধীন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুপায়ন খীসা কর্তৃক মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ ১৬ আগস্ট ২০২২, দুপুর ১২:০০ টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের উপজেলা সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর আহত শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরা নিজেকে সহকারী শিক্ষা অফিসার সুপায়ন খীসার স্ত্রী দাবি করেছেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরার বিবরণ থেকে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তিনি তা মেরামতের লিখিত আবেদন নিয়ে সকালে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুপায়ন খীসার কার্যালয়ে যান। আবেদনটি ঠিক আছে কিনা দেখতে অনুরোধ করেন। এসময় শিক্ষা কর্মকর্তা আবেদনটি দেখতে অস্বীকৃতি জানান।

এ প্রসঙ্গে মৌসুমী ত্রিপুরা আরো বলেন, ‘দীর্ঘ সময়েও তিনি (সুপায়ন খীসা) আমার বিষয়টি নিয়ে কথা না বলায় তার হাত ধরে দৃষ্টি আকর্ষণ করি। এসময় তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং কিল ঘুষি মারতে থাকেন। পরে কার্যালয়ের অন্যরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

মৌসুমী ত্রিপুরা জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সুপায়ন খীসা তাকে বিয়ে করলেও এখনো সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
তবে সুপায়ন খীসা নিজেকে মৌসুমী ত্রিপুরার স্বামী বলে অস্বীকার করেছেন।

আজকের ঘটনা বিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার সুপায়ন খীসা বলেন, তিনি (শিক্ষিকা) অফিসে এসে আমার হাত-গলা ধরে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় তাকে আমি অপেশাদার আচরণ করতে নিষেধ করি। এই নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে তিনি (শিক্ষিকা) দরজায় আঘাত পান।

খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিথিলা বড়ুয়া বলেন, ‘রোগীর (মৌসুমী ত্রিপুরা) বাম চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেখানে দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার মাথায় ব্যাথা আছে।’