খাগড়াছড়িতে সেটেলার বাঙালি কর্তৃক এক মারমা স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার

হিল ভয়েস, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকায় তিন জন সেটেলার বাঙালি যুবক কর্তৃক হাই স্কুলে পড়ুয়া এক মারমা শিক্ষার্থী (১২) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটে গতকাল (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা হতে রাত ১১টার মধ্যে খাগড়াছড়ি পৌরসভার সিঙ্গিনালা ১নং ওয়ার্ডের শাসন রক্ষিত বৌদ্ধ বিহারের পূর্ব পাশে। ভুক্তভোগী মেয়েটি খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী, তার বাড়ি সিঙ্গিনালা ১নং ওয়ার্ড এলাকায়।

এখন পর্যন্ত ধর্ষকদের নাম পাওয়া না গেলেও ভুক্তভোগী ছাত্রী সেটেলার যুবকদের দেখেছেন বলে ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

গতকাল ভুক্তভোগীর পিতা মংসাজাইং মারমা (৪৮) নিজে বাদী হয়ে এবিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা করার সময় মামলায় মংসাজাইং মারমা ‘ধর্ষণকারীরা সেটেলার বাঙালি যুবক’ বলে উল্লেখ করতে চাইলেও কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার পরামর্শে তাকে ‘অজ্ঞাতনাম ৩ জন’ বলে উল্লেখ করতে হয় বলে জানা যায়।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে একই এলাকার শিক্ষক উশাচিং মারমার বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায় এবং রাত ৯টার দিকে বাড়িতে ফিরে আসে। গতকালও সে শিক্ষক উশাচিং মারমার কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। কিন্তু রাত ৯:৩০ টার পরও ছাত্রীটি বাড়িতে ফিরে না আসায় উদ্বিগ্ন ছাত্রীর পিতা শিক্ষক উশাচিং মারমার বাড়িতে খোঁজ করতে যায়। ছাত্রীর পিতা মংসাজাইং মারমা জানতে পারেন যে, তার মেয়ে যথারীতি রাত ৯টার সময়ই বাড়ির উদ্দেশে চলে গেছে। এতক্ষণে বাড়িতে পৌঁছার কথা থাকলে সে বাড়িতে ফেরেনি।

তখন উদ্বিগ্ন মংসাজাইং মারমা আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীদের সহায়তায় তার মেয়েকে খুঁজতে শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পৌরসভার সিঙ্গিনালা ১নং ওয়ার্ডে অবস্থিত শাসন রক্ষিত বৌদ্ধ বিহারের পূর্ব পার্শ্বে মাটি ভরাতকৃত জায়গার উপর অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর পানি এনে অচেতন মেয়েটির মাথায় ও মুখে পানি ছিটিয়ে দিলে মেয়েটির জ্ঞান ফিরে আসে।

এরপর মেয়ে ও তার পিতার বয়ান থেকে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সবিতা চাকমার দোকানের কাছাকাছি পৌঁছলে পেছন থেকে ৩ সেটেলার বাঙালি যুবক মুখ চেপে ধরে মেয়েটিকে জোরপূর্বক শাসন রক্ষিত বৌদ্ধ বিহারের পূর্ব পার্শ্বে মাটি ভরাতকৃত জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর মেয়ের নাকে-মুখে চেতনানাশক ঔষধ ছিটিয়ে দিয়ে অজ্ঞান করে সেটেলার বাঙালিরা পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

More From Author

+ There are no comments

Add yours