কুষ্টিয়ায় দুর্বৃত্তদের কর্তৃক বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

হিল ভয়েস, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিশেষ প্রতিবেদন: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ পালপাড়া কালী মন্দিরে ও নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহেরবাংলা ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রামের একটি দুর্গা মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ পালপাড়া কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুরের পর ঘটনাস্থলে থাকা একটি নজরদারি ক্যামেরাও (আইপি ক্যামেরা) নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

মন্দির কমিটির সভাপতি অমরেশ ঘোষ বলেন, মন্দিরে কার্তিক ও সরস্বতী প্রতিমার মাথা ও হাত ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, টিন শেড ঘেরা অস্থায়ী এই মন্দিরে প্রতিদিনই পাহারা দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার সময় বিদ্যুৎ ছিলনা, আবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও পড়ছিল। কিন্তু লোডশেডিং চলাকালে গিয়ে দেখি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এই সুযোগে কে বা কারা প্রতিমা ভাঙচুর করে চলে যায়।

সামনে দুর্গাপূজা, প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে রংয়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে, নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহেরবাংলা ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রামের একটি দুর্গা মন্দিরেও মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার(১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে কোনো এক সময়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায়।

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কান্দুলিয়া গ্রামের অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে মূর্তি তৈরি করা হচ্ছিল। কয়েক দিন আগে মাটির কাজ শেষ করে সাময়িক বিরতিতে যান কারিগররা। এরপর মন্দির কমিটির লোকজন মূর্তিগুলো ত্রিপল ও কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখেন।

আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাতটার দিকে স্থানীয়রা গিয়ে দেখতে পান, কার্তিক মূর্তির ডান হাত মুচড়ে দেওয়া হয়েছে এবং অসুর মূর্তির বাম হাত ভাঙা। অসুরের গলাও মুচড়িয়ে আংশিক ভেঙে ফেলা হয়েছে।

পরে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

মন্দির কমিটির সভাপতি মিন্টু রায় বলেন, “মূর্তিগুলোর শুধু রং করার কাজ বাকি ছিল। দু-তিন দিনের মধ্যেই রংয়ের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।”

More From Author