কুলাউরায় খাসিয়াপুঞ্জিতে হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে নাগরিক প্রতিনিধি দল

0
540

হিল ভয়েস, ২৩ নভেম্বর ২০২০, সিলেট: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউরা উপজেলার ইছাছড়া খাসিয়াপুঞ্জিতে সম্প্রতি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে নাগরিক প্রতিনিধি দল। গত ২১ নভেম্বর ২০২০ নাগরিক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উক্ত খাসিয়া পুঞ্জিতে পরিদর্শনের সময় এ দাবি জানায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঐদিন বিকেল ৫:০০টার দিকে বেসরকাররি সংস্থা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’এর জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি ম্যানেজার এভিলিনা চাকমার নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি নাগরিক প্রতিনিধি দল সেখানে যায়। উক্ত প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল সোহেল, মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ স ম সালেহ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক রিপন চন্দ্র বানাই প্রমুখ। এছাড়াও আদিবাসী পরিবেশ আন্দোলনের সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক জোসেফ গোমেজ এবং কুলাউড়ায় কুবরাজের সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলি তালাং সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে টাট্রিউলি গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়ার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা জেসপার আমলেংরংয়ের প্রায় পাঁচ একর জায়গার একটি পান জুম দখল করে নেয়। এ ব্যাপারে জেসপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।

উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ নভেম্বর ইউএনও এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল জুমে গিয়ে অভিযান চালালে জুমের ভেতরে রফিক মিয়ার অবৈধভাবে নির্মিত দুটি কাঁচা ও টিনশেডের একটি আধা পাকা ঘর গুঁড়িয়ে দেয়। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ওই জমি জেসপারকে বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়। সেদিনই সন্ধ্যায় রফিক মিয়ার নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক খাসিয়া পুঞ্জিতে দেশীয় অস্ত্র সহ হামলা চালায় এবং একটি মুদি দোকান ও পুঞ্জির গির্জায় ঢুকে ভাঙচুর চালায় ও জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়। এ সময় পুঞ্জির লোকজন বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা যাবৎ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় রফিক মিয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা হয়।

জানা গেছে, মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে মৌলভীবাজারের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরও তিন আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে প্রধান আসামীসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।