কাপ্তাইয়ে সেনাবাহিনী কর্তৃক মিথ্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে গ্রেপ্তার

0
946
চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা

হিল ভয়েস, ২৮ নভেম্বর ২০২০, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ষড়যন্ত্রমূলক এক মিথ্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা (৫৫) ও ইউপি সদস্য সিংথোয়াই মারমাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২৭ নভেম্বর ২০২০ দুপুর ১২:৩০ টার দিকে সেনাবাহিনীর কাপ্তাই সেনা জোনের একদল সেনা সদস্য চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে উক্ত দুই নির্বাচিত প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনী ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যামামলার আসামী হিসেবে রাজস্থলী থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) কাপ্তাই থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ইউপি সদস্য সিংথোয়াই মারমা জনসংহতি সমিতির চিৎমরম ইউনিয়ন কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

উক্ত গ্রেপ্তারকৃত দুই জনপ্রতিনিধি তারা যে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী তা তারা নিজেরাই জানতেন না বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত ২০ নভেম্বর ২০২০ রাত ৮:০০ টার দিকে পার্শ্ববর্তী রাজস্থলী উপজেলায় সেনামদদপুষ্ট মগপার্টির অভ্যন্তরীণ গোলাগুলিতে তুইনুমং মারমা নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে চট্টগ্রামে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এরপর সেনাবাহিনী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জোর করে নিহত তুইনুমং মারমার পরিবারকে জনসংহতি সমিতির সদস্য, সমর্থক ও গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করতে বাধ্য করে। এতে কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলার জনসংহতি সমিতির সাথে যুক্ত ব্যক্তি ও সমর্থক গ্রামবাসী ২৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামী হিসেবে মিথ্যাভাবে জড়িত করা হয়।

জানা গেছে, সেনাবাহিনীর পরামর্শেই পিসিজেএসএস’এর সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের মামলায় জড়িত করা হয়।

রাজস্থলী থানার স্থানীয় এক মুরুব্বী জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তিসহ মামলার আসামীরা কেউই উক্ত তুইনুমং মারমা নিহত হওয়ার ঘটনার সাথে কোনভাবেই জড়িত নয়। সেনাবাহিনীই পিসিজেএসএস’কে ধ্বংস করতে এবং চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে এসব নিরস্ত্র ব্যক্তিদের মামলাই জড়িত করতে বাধ্য করেছে।

উল্লেখ্য, পিসিজেএসএস’র কাপ্তাই থানা কমিটির সভাপতি বিক্রম মারমাকেও উক্ত মামলায় মিথ্যাভাবে জড়িত করা হয়।