কল্পনা চাকমা

শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা

ঘুমহীন পাহাড়ের বুক চিরে
উঠে আসে এক প্রতিবাদের নাম,
চোখে আগুন, হাতে শিকল ভাঙার গান—
সে কল্পনা, যার রক্তে লেখা মুক্তির স্বপ্ন।

পাহাড় ছুঁয়ে তার পদচারণা
চোখে আগুন, বুকে ছিল রাত।
স্বপ্ন জড়ানো একটি নাম —
কল্পনা,
ছিল না কল্পনার মতোই সোজাসাপটা কথার কামান।

পাহাড়ের বাতাসও জানে তার গল্প,
যেখানে আঁধারে হারিয়েও আলো হয়ে ফিরে সে।
বন্দুকের নলও তার দিকে তাকালে,
সে তাকায় নিঃশঙ্ক সাহসে।

বাঁধের জল যেমন থামে না,
তেমনি থামেনি তার কণ্ঠস্বরে বিদ্রোহ।
আলোর মতো নিঃশব্দে এসে
তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল কালো রাত্রী —
তবু আজও পাহাড়ের ভাঁজে তার পায়ের ছাপ।

যারা কেড়ে নিতে চেয়েছিল তার কণ্ঠ,
তারা জানেই না, কণ্ঠ থামে না হৃদয়ে।
কল্পনা শুধু নাম নয়—
সে প্রতিজ্ঞা, সে প্রতিরোধ,
সে পাহাড়ের অধিকারের জন্য গর্জে উঠা কন্ঠ ।

কী হারিয়ে গেছে? না,
সে হয়ে উঠেছে প্রতিরোধের প্রতীক।
শব্দহীন স্রোতের মতো
তার গল্প ছড়িয়ে পড়ে একেকটা ঘরে, একেকটা শিখরে।

জানালা খুললেই শোনা যায় —
“আমাকে খোঁজো না শুধু নিখোঁজের খবরে, দেখো-
আমি আছি সেখানে, যেখানে কেউ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।”

চোখে আজও তার ছায়া যেন বেদনার ভরা,
তবু লুকানো নেই আশার আলো।
হয়তো সে হারিয়ে গেছে কালো রাতের গভীরে—
তবু সে ফিরে আসে, সকলের কল্পনাতে
প্রত্যেক সাহসী নারীর কণ্ঠে, চোখে, লড়াইয়ে।

More From Author

+ There are no comments

Add yours