কক্সবাজারের টেকনাফে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা, দুর্বৃত্তদের বাঁধা দিতে গিয়ে আহত ৩

0
840
ছবি: প্রতীকী

হিল ভয়েস, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলাধীন টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে একদল দুর্বৃত্ত কর্তৃক এক আদিবাসী চাকমা নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং ওই নারীকে রক্ষা করতে গিয়ে ওই নারীসহ তার পিতা ও স্বামীও দুর্বৃত্তদের আক্রমণে গুরুতর জখম হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে চার দুর্বৃত্তকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে বলে জানা গেছে।

গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০ টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হরিখোলা শ্মশান এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আহতদের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টার শিকার চাকমা নারীকে (৩৫) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অপর আহত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন ওই নারীর পিতা উক্যথাইন চাকমা ও স্বামী মংলাচিং চাকমা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐ সময়ে ওই চাকমা নারী তার স্বামী ও পিতার সাথে হরিখোলা শ্মশান এলাকায় মাছ ধরছিল। মাছ ধরতে ধরতে সন্ধ্যা হয়ে আসায় নারীর স্বামী ওই নারীকে ভাত রান্না করার জন্য বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে আসার সময় পথে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ওই নারীকে ঘিরে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে নারীটি যথাসাধ্য চিৎকার করতে থাকে। চিৎকারের শব্দ শুনে ওই নারীর পিতা উক্যথাইন চাকমা ও স্বামী মংলাচিং চাকমা তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা তাদের দুইজনকেও মারধর করে জখম করে। এসময় নারীটি আঘাত পেয়ে মাথায় গুরুতর জখমের সৃষ্টি হয়।

এদিকে হামলার শিকার ওই নারী এবং তার স্বামী ও পিতার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং হাতেনাতে ৪ জন দুর্বৃত্তকে আটক করতে সক্ষম হয়।

ধর্ষণ ও হামলার চেষ্টাকারী এবং আটককৃত ৪ দুর্বৃত্ত হল- সুজিত বড়ুয়া, সিরাজুল ইসলাম (মোস্তফা), সোহেল ও কালু। তারা পার্শ্ববর্তী এলাকায় থাকে বলে জানা যায়। স্থানীয়রা পরে আটককৃত উক্ত দুর্বৃত্তদের পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। ভুক্তভোগীদের তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের চেষ্টা ও হামলাকারী দুর্বৃত্তরা সংখ্যায় ৮ জন ছিল বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী, অন্যান্য দুর্বৃত্তদেরও অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। না হলে ভুক্তভোগীরা আরও অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।