হিল ভয়েস, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা এ্যাড. প্রদীপ চৌধুরীকে কোন কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গ্রেপ্তারের পরদিন তিনি জামিনে মুক্তি পান বলে জানা যায়। তিনি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
গত ২ ডিসেম্বর ২০২৫ সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে গভীর উদ্বেগ ও মুক্তির দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জে এম সেন হলে বিকেলে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তিতে যেগদানশেষে ফেরার পথে জে এম সেন হল ফটক অতিক্রম করতেই একদল পুলিশ জোর করে গাড়িতে তুলে স্থানীয় কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
ঠিক কী কারণে এ্যাড প্রদীপ চৌধুরীকে ধরে নেওয়া হয়েছে তার কারণ থানায় নেয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর রাত ১১টা পর্যন্ত পুলিশ জানাতে পারেনি বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষের কেন্দ্রীয় কমিটি এহেন ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অনতিবিলম্বে এ্যাডভোকেট প্রদীপ চৌধুরীর মুক্তির দাবি জানায়।
সংগঠনটির বিবৃতির পরদিন বুধবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলামের আদালত তাকে জামিন দেয় বলে জানা যায়।
প্রদীপ চৌধুরীর আইনজীবী শামসুল ইসলাম জানান, মামলার এজাহারে প্রদীপ চৌধুরীর নাম নেই। একজন আইনজীবী হিসেবে আদালত ওনার জামিন মঞ্জুর করেছেন। আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জিম্মায় ওনাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরা বলেন, প্রদীপ চৌধুরীর জামিন শুনানিতে শতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে পুলিশের তরফে বলা হয়, তিনি সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হওয়া কোতোয়ালী থানার একটি মামলায় প্রদীপ চৌধুরী তদন্তে প্রাপ্ত আসামি।